• প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য
Friday, June 6, 2025
Daily Nobojug
No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য
No Result
View All Result
Morning News
No Result
View All Result
Home মতামত

বহুত্ববাদী ভারত হিন্দুত্ববাদী না হোক

প্রকাশিতঃ 20/01/2016
Share on FacebookShare on Twitter

আমি খুব উৎসাহী সিনেমা দর্শক নই। কিন্তু আমির খানের মতো অভিনেতাদের সিনেমা দেখি, কারণ তিনি স্বাভাবিক অভিনয় করেন। তাঁর মতো অভিনেতার সিনেমা দেখলে মনে হয় না যে সিনেমা দেখছি, মনে হয় নিজের জীবনই দেখছি। আমি অবশ্যই বলব যে তারকুন্দে বার্ষিক বক্তৃতায় তিনি যে বললেন, তাঁর স্ত্রী প্রায়ই তাঁকে বলেন, তাঁদের দেশ ছেড়ে যাওয়া উচিত কি না, এ কথা কিন্তু আমার পছন্দ হয়নি। তবে পরবর্তী সময়ে তিনি এর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, আর কুৎসিত বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছেন।
কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকার আবারও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। পর্যটন প্রচারণার কর্মসূচি ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন আমির খান, কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সরকার তাঁর সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি। বিজেপি আসলে কী বার্তা দিতে চাইছে, সেটা আমার বোধগম্য নয়। কিন্তু এটা পরিষ্কার যে ওই মন্তব্য করার জন্য ক্ষমতাসীন দল তাঁকে শাস্তি দিচ্ছে।
ওই অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত ছিলাম, কারণ সেখানে আমাকে সমগ্র কর্মজীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। আমির খানের মন্তব্য একটু খাপছাড়া মনে হলেও তা আক্রমণাত্মক ছিল না। সম্প্রতি ভারত থেকে সহিষ্ণুতা উঠে গেছে বলে তিনি যে ফরিয়াদ করেছেন, তা তো মিথ্যা নয়। কিন্তু তাঁর কথায় এমন কিছু ছিল না, যাতে কেউ আহত হতে পারেন।
দৃশ্যত বোঝা যাচ্ছে, মোদি সরকার তাঁর মন্তব্য ভুলে যায়নি বা তাঁকে ক্ষমা করেনি, আর সে কারণেই তাঁর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। এতে অনেকেরই ভ্রু কুঁচকে গিয়েছিল, আর উদার মানুষেরা সরকারকে প্রশ্নও করেছিল, কারণ তারা এটাকে ইস্যু বানাতে চায়নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও এতে সন্দেহ নেই যে মোদি সরকার আমির খানকে শাস্তি দিয়েছে।
এতে মোদি সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। তারা সংখ্যালঘুদের শান্ত করতে বলেছিল, সব কা সাথ, সব কা ভিকাস অর্থাৎ সবার সঙ্গে সবার বিকাশ। কিন্তু দৃশ্যত চরমপন্থী আরএসএস মোদি সরকার পরিচালনা করে। এমনকি প্রসার ভারতীর মতো একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকেও আরএসএস– প্রধান মোহন ভাগওয়াতের বক্তৃতা প্রচার করতে হয়েছে। স্বাধীনতার পর এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটল।
মোদি সরকার এটা বুঝতে পারে না যে এটা আইনিভাবে ঠিক হলেও নৈতিকভাবে ভুল। ভারতের সংখ্যালঘুরা সন্দেহ করে, বিজেপি সরকার হিন্দুত্ববাদী, তারা ভীতসন্ত্রস্ত, তারা দেশে নিজেদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক বলে মনে করে, সংবিধান অনুসারে যে দেশের আইনে সবাই সমান।
বিজেপি সরকার যে নিয়োগ দিচ্ছে তাতে সংকীর্ণতাবাদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তো আরএসএসপন্থী কয়েকজন একাডেমিককে বিশ্ববিদ্যালয়টির শীর্ষ স্থানে বসা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ ছাড়া মোদি সরকার যে বার্তা দিচ্ছে তা হলো বিদ্যায়তনও এইচআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে না।
পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই) এক বছর ধরে ঠিকঠাক কাজ করছে না, কারণ আরএসএস প্রচারক গজেন্দ্র চৌহানকে এই সংস্থাটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চৌহান স্রেফ একজন অভিনেতা, আরও অনেক যোগ্য অভিনেতাকে ডিঙিয়ে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতা চৌহানের নিয়োগের বিরুদ্ধে কথা বললেও মোদি সরকার তাতে কান দেয়নি।
আরেকটি চোখে পড়ার মতো দৃষ্টান্ত হচ্ছে পঙ্কজ নিহালিনি, যাকে সেন্সর বোর্ডের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি একজন ভালো চলচ্চিত্র নির্মাতা, তাতে সন্দেহ নেই, কিন্তু তাঁর সঙ্গে আরএসএসের সখ্যের কথাও সবার জানা। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ওখানে গেরুয়াকরণের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সরকার শেষমেশ চাপের কাছে নতি স্বীকার করে, তাঁর জায়গায় নিখুঁত মানুষ শ্যাম বেনেগালকে বসানো হয়। তবে পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সরকার নিজের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
আমি মনে করি, সরকারের ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া প্রচারণার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর থাকাকালে আমিরের ওই কথা বলা ঠিক হয়নি। অবস্থান নেওয়ার আগে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত ছিল। বস্তুত, তিনি যখন প্রথম দফাতেই ওই প্রস্তাব মেনে নেন, তখন আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি জানেন, মোদি সরকারের অবস্থান কী, আর আরএসএসই বা কীভাবে সরকার পরিচালনা করছে।
কিন্তু সবচেয়ে গুরুতর ব্যাপার হচ্ছে অমিতাভ বচ্চনের ওই পদে আসীন হওয়া। এটা সবাই জানে যে তিনি সব সময় ক্ষমতার কাছাকাছি থাকেন, তা যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন। তিনি কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এলাহাবাদ আসন থেকে লোকসভা নির্বাচন করেছিলেন। তারপর থেকে তিনি আর অবস্থান নেননি, সব সরকারের সঙ্গেই তিনি মানিয়ে চলেছেন, কংগ্রেস বা বিজেপি—যে সরকারই হোক না কেন। তিনি শুধু জানেন, রুটির কোন পাশটাতে মাখন লাগানো আছে।
ঘটনাচক্রে মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন অমিতাভ গুজরাটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। আমির খানকে জোরপূর্বক বিদায় দেওয়ার কারণে তিনি যদি পদত্যাগ করতেন, তাহলে বোঝা যেত, তিনি নীতিগত অবস্থান নিয়েছেন, যার সঙ্গে আপস চলে না। কিন্তু তাঁর মধ্যে আমি যা খুঁজছি, সেটা নেই।
তাঁর স্ত্রী জয়া বচ্চনের কথাই ধরুন, সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং তাঁকে দুবার রাজ্যসভার জন্য মনোনীত করেছিলেন। বস্তুত, পার্টি চেয়েছিল তিনি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, কিন্তু তিনি রাজি না হওয়া সত্ত্বেও মুলায়ম দ্বিতীয়বারের মতো তাঁকে রাজ্যসভার জন্য মনোনীত করেন। এসব থেকেই বোঝা যায়, অমিতাভ যেকোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতিরই সুযোগ নিতে পারেন। বিজেপির সংকীর্ণতার ওপর আমির খানের সাহসী মন্তব্য বা তাঁকে যতই দৃষ্টিকটুভাবে সরিয়ে দেওয়া হোক না কেন, অমিতাভের তাতে কিছু আসে যায় না।
এখানে জাতির জন্য শিক্ষণীয় কিছু বিষয় আছে। একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে সবার জন্যই জায়গা করে দিতে হবে, এমনকি সমালোচকের জন্যও। ভারত পাকিস্তানের মতো নয়। ভারত একটি বহুত্ববাদী রাষ্ট্র, যেখানে মতামতের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে, আর সংখ্যালঘুদের আত্মপ্রকাশের সব অধিকারই আছে। কিন্তু করুণার বিষয় হচ্ছে, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মতো মানুষেরা সেই অধিকারের অপব্যবহার করে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যকার পার্থক্য আরও তীব্র করে তুলছেন।
বল এখন বিজেপির কোর্টে। দলটিকে সহিষ্ণুতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমার মতো একজন মানুষও মনে করছে, ভারত বহুত্ববাদের পরিচয় হারিয়ে হিন্দুত্ববাদী হয়ে উঠছে। এটা ভারতীয় মূল্যবোধ নয়। দেশটির সংবিধানও এই সুযোগ দেয় না। ভারতের স্বাধীনতার সংগ্রাম স্রেফ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ছিল না, ১৫০ বছরের শাসনে গড়ে ওঠা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও এই লড়াই পরিচালিত হয়েছে। আমাদের এমন এক দেশ গড়তে হবে, যেখানে আমির খানের মতো মানুষদের ওরকম মন্তব্য করতে হবে না, যে কথায় সংখ্যালঘুদের বেদনা খুব পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়।
অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
কুলদীপ নায়ার: ভারতীয় সাংবাদিক 

সর্বশেষ

ইশরাকের শপথের গেজেট স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি বৃহস্পতিবার

ইশরাকের শপথের গেজেট স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি বৃহস্পতিবার

May 28, 2025
সব মামলা থেকে খালাস তারেক রহমান

সব মামলা থেকে খালাস তারেক রহমান

May 28, 2025
ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে শুনানি

ইশরাকের মেয়র পদ নিয়ে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে শুনানি

May 28, 2025
নয়াপল্টনে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ শুরু

নয়াপল্টনে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ শুরু

May 28, 2025
চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবা জরুরি নয়: জোনায়েদ সাকি

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এই মুহূর্তে ভাবা জরুরি নয়: জোনায়েদ সাকি

May 18, 2025
সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে অলি আহমদের সাক্ষাৎ

সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে অলি আহমদের সাক্ষাৎ

May 18, 2025
Daily Nobojug

হাউজ নং ৫৯৪, ৯৮, কাওরান বাজার
ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ইমেইলঃ [email protected]
বিজ্ঞাপনঃ [email protected]

সম্পাদকঃ ইসরাত রশিদ

সহ-সম্পাদক- জনি জোসেফ কস্তা

সিনিয়র সহ-সম্পাদকঃ নুরুল হুদা

উপদেষ্টাঃ নূর মোহাম্মদ

প্রকাশকঃ আলী আমিন ও মোহাম্মদ ওমর সানী

  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য

© 2019 Daily Nobojug - All rights reserved.

No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য

© 2019 Daily Nobojug - All rights reserved.