রাজধানীর তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকায় নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে শনাক্ত করেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নিহত সাগরিকা বেগম তৃপ্তি (১২) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার শুক্কুরপুর গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে। সে বিজি প্রেস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। শনিবার সকালে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
সাগরিকার দুলাভাই মোজাফফর হোসেন জানান, সকালে তৃপ্তির মা-বাবা বাসার বাইরে ছিলেন। সকাল ৭টার দিকে বোন কুলসুম বেগম খাওয়ার জন্য সাগরিকাকে ডাকতে যান। সাগরিকা পরে খাবে জানালে তিনি অন্য কক্ষে চলে যান। সাড়ে ৭টার দিকে তাকে আবারও কুলসুম ডাকতে যান। তখন তৃপ্তির কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান।
দরজার নিচ দিয়ে তিনি দেখেন, সাগরিকা ফ্লোরে পড়ে আছে। এক পা খাটের ওপরে ছিল। তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। পরে কক্ষের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে শিশুটিকে উদ্ধার করে সমরিতা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মোজাফফরের ভাষ্য, সাগরিকাকে সমরিতা হাসপাতালে নেয়ার সময় তার মা আমেনা বেগম ও কুলসুম বেগম কক্ষটি তালাবদ্ধ করে যান। দুপুরে বাসায় ফিরে কক্ষটি খুলতেই এক যুবক ঘরের কার্নিশ থেকে মেঝেতে লাফিয়ে পড়েন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই যুবক পালিয়ে যায়। তবে ওই যুবকের মুখমণ্ডল তারা দেখতে পাননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই যুবক পাশের বাসার ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া আলম। ঘটনার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ধর্ষণের পর শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। বাসা থেকে এক যুবক পালিয়ে যাচ্ছে এমন দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ওই যুবককে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
পরিবার জানায়, নিহত সাগরিকা দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। সাগরিকা উত্তর বেগুনবাড়ির ৪৭ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয়তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত।