বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-কে নিয়ে পোর্টাল বাংলাদেশ নামক একটি অনলাইন পোর্টালে কটূক্তি ও হত্যার হুমকি প্রদানের দায়ে গত মঙ্গলবার রাজবাড়ী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাদী হয়ে আকবর আলী নামক এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাতে লেখক, প্রকাশক ও সকল বক্তব্য প্রদানকারীকে আসামী করে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেনঃ মোঃ রাশেদ আলম, এমডি আনিছুজ্জামান, আজির উদ্দিন, শাহ মোহাম্মদ শাহিনুর রব, এমডি হাসনাইন, মোহাম্মদ আবু জোবায়ের রব্বানী, এমডি সাব্বির হোসেন, চিন্ময় দেবনাথ, নিজামুদ্দিন দোদন, মশিউল হোসেন খান, কামরুল ইসলাম, এমডি তোফায়েল হোসেন।
এ মামলার বিষয়ে বাদী আকবর আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের এ প্রতিবেদককে জানান, “এই মামলার আসামীরা প্রত্যেকে দীর্ঘদিন যাবত অনলাইনে সরকার তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা পোর্টাল বাংলাদেশ নামক একটি অনলাইন পত্রিকায় একটি কলাম লিখে। সে কলামে লেখকরা আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয়, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কটূক্তি ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেছে। তারা শুধু কটূক্তিই করেনি, বরং দেশনেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও তাঁর সমগ্র পরিবারকে উচ্ছেদ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছে। যা খুবই ভয়ঙ্কর, আমাদের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ ও এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এসকল লেখকেরা দেশের বিরুদ্ধে নিরন্তর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এবং এটি এক ধরনের মহামারি আকার ধারণ করার আগেই বন্ধ করে দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা উচিত। এজন্যই বিষয়টিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই মামলাটি করেছি।”
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাটি দায়ের হওয়ার পর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাজবাড়ী থানাকে আগামী মে মাসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাজবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের প্রতিবেদককে জানান, “অভিযোগ আসার পর থেকেই আমরা দ্রুততার সাথে কাজ করছি। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরপরই আমরা একটি ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ তদন্ত সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো। আমাদের কাছে বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট আসলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে সবাইকে এ বিষয়ে অবহিত করতে পারবো।”
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে আমাদের এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করে তাদের বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করলে তাদের কারো সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।