বাংলাদেশের ফুটবলে ব্রাদার্স ইউনিয়নের অবদানের কথা কোনোভাবেই অস্বীকার করার সুযোগ নেই। নিঃস্বার্থভাবে এই ক্লাবটি দেশের ফুটবলে কাজ করে আসছে। কতো শত ফুটবলার এই ক্লাব উপহার দিয়েছে, দেশের ফুটবলকে অলংকৃত করেছে সেই কথাগুলো দেশের ফুটবলের ইতিহাসে লেখা আছে। কিন্তু নানা কারণে ক্লাবটি অর্থসংকটের মুখোমুখি হয়ে সেভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না। তার পরও সমস্যার মধ্যে ফুটবলে দল গঠন করেছে। নানা অভাব-অনটনের মধ্যে দল গঠন করে দেশের ফুটবলের পাশেই ছিল। তার পরও প্রিমিয়ার লিগ থেকে নেমে গেছে ব্রাদার্স।
এই করোনাকালে সারা দুনিয়া নানা আয়োজন করেছে সংকুচিতভাবে। কিন্তু দেশের ফুটবল আয়োজন করছে লম্বা সময় নিয়ে। গত ডিসেম্বরে প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়েছে আর এখনো চলছে। কবে শেষ হবে কেউ বলতে পারে না। এমনকি বাফুফেও নিশ্চিত করে বলতে পারবে না লিগ কবে শেষ হবে। আর এসব সিদ্ধান্তহীনতার শিকার হচ্ছে কম বাজেটের ক্লাবগুলো। এসব নিয়ে ছোট ক্লাবগুলো লিগ কমিটির সভায় কিংবা বাফুফের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বললেও তা আমলে নেওয়া হয় না। ছোট ক্লাবগুলো কীভাবে অর্থ এনে পরিচালনা করে সেই কষ্ট তারাই বুঝবেন।
ব্রাদার্স এবং আরামবাগ নেমে গেছে। ব্রাদার্সের আমের খানের কথায় স্পষ্ট, করোনাকালে অটোপাশ চায় ব্রাদার্স। আমের খান বললেন, ‘এটা শুধু ব্রাদার্সের জন্য নয় এবারের জন্য নয়। যেসব পুরোনো ক্লাব আছে তাদের নিয়ে একটা কাঠামো তৈরি করা উচিত।’ আমের খানের কণ্ঠে কষ্ট, অভিমান, অভিযোগ, না পাওয়ার যন্ত্রণা। মাঠে নেমে ব্রাদার্স গোল করলে সেটি বাতিল হয়ে যায়। বল নিয়ে ঢুকতে গেলে কারণে-অকারণে অফসাইড হয়ে যায়। গোল করে এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষ হাফ চান্স থেকেই গোল আদায় করে ফেলে। সারা দুনিয়া অফসাইড বললেও রেফারি সেটি দেখেন না।
আমের খান বললেন,‘মাঠে আমরা বঞ্চিত হয়। সঠিক বিচার পাই না।’ তিনি বলেন,‘অতীতে দেখা গেছে বিভিন্ন ক্লাব বিপদের সময় বাফুফে তাদের জন্য দুয়ার খুলে দিয়েছে। ব্রাদার্সের যে অবদান ব্রাদার্স কেন তার ঐতিহ্য সামনে আনবে না। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্রাদার্সের অবদান বিবেচনা করতে পারে বাফুফে। প্রিমিয়ার লিগে জোড় সংখ্যার দল হলে অসুবিধা কি।’