প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই মুহূর্তে চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে ভাবা জরুরি নয়। এটা নিয়ে পরে ভাবলেও হবে। অন্য কেউ ভাববে। কিন্তু ভূমিহীনদের নিয়ে এখনই আপনি না ভাবলে ভাবার কেউ থাকবে না।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন ও রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন আয়োজিত ভূমিহীন কৃষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোন নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাইছেন। যেখানে ভূমিহীনরা, দিনমজুরদের মাথা গোজার ঠাঁই নেই। এত এত সংস্কার করে কী হবে, যদি ভূমি সংস্কারই করতে না পারলেন। ভূমি সংস্কার ছাড়া কোনো সংস্কারেই কাজ হবে না। তাই এমন সংস্কার করুন, যেখানে ভূমিহীনরা থাকতে ও জীবন নিয়ে বাঁচতে পারে, চলতে পারে, নির্দ্বিধায় থাকতে পারে।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমরা সবাই একই কাতারে রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্ট বিদায় করেছি। এখানে ভূমিহীন, কৃষক, দিনমজুর সবাই আত্মত্যাগ দিয়েছে। ফলে দেশের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। এত বড় অভ্যুত্থানের পর ওরা কী পেল? এই লোকেরা আজও ভূমিহীন, বাসস্থানহীন।
সরকারের উদ্দেশে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ূম বলেন, দেশের সব খাস জমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভূমিহীনদের লিজ দিতে হবে। তাদের সেখানে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তাদের অধিকার সম্পর্কে বুঝতে হবে।
আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টির) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ভূমিহীনরা নিজেদের অধিকার চায়। এই দেশে এক খণ্ড জমি চায়। কিন্তু সরকার তাদের এসব অধিকার দিতে পারছে না। আমরা বলে দিতে চাই— ভূমিহীন কৃষকদের সব দাবি-দাওয়া মেনে নিন। আমরা তাদের সঙ্গে সব সময় আছি। প্রয়োজনে তাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।