ইরানের বেসিজ সংগঠনের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলামরেজা সোলেইমানি জানিয়েছেন, গত জুন মাসে ১২ দিনের সংঘর্ষে ইরান সফলভাবে ইসরায়েলের ২১টি গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থাপনা ধ্বংস করেছে। এই সফলতা এতটাই স্পষ্ট ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন হয়েছে যে, ভ্রান্তি এক মিটারেরও কম। খবর মেহের নিউজের।
গোলামরেজা সোলেইমানি রোববার বলেন, শত্রুপক্ষ এই ১২ দিনব্যাপী যুদ্ধ উসকে দিয়েছিল এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে সক্রিয় করে দিয়ে ইরানের ভেতর ও বাইরে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। তবে এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। তার ভাষায়, ‘এই ১২ দিনের অভিযানে আমরা জায়ানিস্ট শাসনের ২১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছি। নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আমরা আমাদের লক্ষ্যসমূহ সফলভাবে দখল করে নিয়েছি, যার নির্ভুলতা এক মিটারেরও কম। এখন আমরা তাদের দুর্বল দিকগুলো সম্পূর্ণভাবে চিহ্নিত করেছি এবং অধিকৃত ভূখণ্ডের প্রতিটি বর্গমিটারে ঘটনার বিবরণ জানি।’
বেসিজ সংগঠনের প্রধান এসময় সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে যদি আবার কোনো আক্রমণ ঘটে, তাহলে ইরান শুধু জায়ানিস্টদের নয়, তাদের সমর্থকদেরও দায়ী করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘যান এবং খুঁজে দেখুন, সাম্প্রতিক যুদ্ধে কত দেশের অংশগ্রহণ ছিল ইসরায়েলকে রক্ষা করতে এবং কত হাজার টন বোমা ও বিস্ফোরক ব্যবহার করে তারা এক নিরস্ত্র জাতির উপর আঘাত করেছে, যা এক ভয়ংকর অপরাধ। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হবে।’
১১ জুন ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও অঘোষিত হামলা শুরু করে, যা ১২ দিনব্যাপী এই সংঘর্ষের জন্য দায়ী। এই যুদ্ধে অন্তত ১,০৬৪ জন নিহত হন, যার মধ্যে ছিলেন সামরিক কোরামান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক।
এসময় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
প্রতিশোধের অংশ হিসেবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী অধিকৃত ভূখণ্ডে হামলা চালায়, পাশাপাশি কাতারখ্যাত আল-উদেইদ ঘাঁটি (পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি) লক্ষ্য করে আঘাত করে।
গত ২৪ জুন ইরান সেই সফল প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যা ইসরায়েল ও মার্কিন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তাদের আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করে।