শুক্রবার ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেনার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করার পর পদত্যাগ করেছেন। তিনি একই সঙ্গে লেবার পার্টির ডেপুটি লিডারের পদ থেকেও ইস্তফা দেন। এই ঘটনাটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের জন্য নতুন এক বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ৪৫ বছর বয়সী রেনার হলেন সরকারের মন্ত্রীপরিষদে আট নম্বর সদস্য, যিনি এই দলে থেকে বিদায় নিলেন। স্টারমারকে লেখা এক চিঠিতে রেনার কর ফাঁকি দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলছেন, ‘আমার ভুলের জন্য আমি সম্পূর্ণ দায়ভার নিচ্ছি।’ সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটিশ জনমত লেবার পার্টিকে রিফর্ম ইউকে একেবারেই পেছনে ফেলে যাচ্ছে, যার ফলে স্টারমার তার প্রশাসনের কৌশল ও দলীয় ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন। এই পরিস্থিতিতে ডেপুটি পদ হারানো তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতি, বিশেষ করে রেনারের জন্য। উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেনার একজন শ্রমিক শ্রেণীর কিশোরী মা থেকে উঠে আসা, যিনি ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলে বিশেষ সম্মান পেয়েছেন। দলকে এককাট্টা রাখার জন্য তিনি লেবার দলের বাম ও মধ্যপন্থী শাখার মধ্যে মধ্যসাধনের কাজ করে গেছেন। বলতে গেলে, স্টারমার থেকে তার আবেদন আরও ব্যাপক ছিল। স্টারমারের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত এই রেনার বেশ আগে, গত বুধবার কর পরিশোধের ক্ষেত্রে ভুল স্বীকার করেন। উল্লেখ্য, স্টারমারের সরকারের সময় একটানা ৮ জন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য পদত্যাগ করেছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজনই অন্যায় কাজে জড়িত থাকার জন্য পদত্যাগ করেছেন। ১৯৭৯ সালের পর এটিই ব্রিটিশ রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মন্ত্রী পদত্যাগের ঘটনা, যা স্টারমারের সরকারের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।