ভারতের নতুন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সি.পি. রাধাকৃষ্ণন, who is a prominent leader of the ruling BJP-led coalition. তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক বিচারপতি সুদর্শন রেড্ডির বিরুদ্ধে, এবং লক্ষণীয় যে তিনি এই পদে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনের প্রক্রিয়া বেশ না-আশ্চর্যজনক ছিল, কারণ কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে প্রবীণ উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগের ফলে মধ্যবর্তী এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভারতীয় সংসদে অবস্থিত ৭৮১ সদস্যের ইলেকটোরাল কলেজে, যেখানে সংসদের উভয় কক্ষের সদস্যরা ভোট দেন, তাতে রাধাকৃষ্ণন ভোট পান ৪৫২টি। অন্যদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক বিচারপতি সুদর্শন রেড্ডি পান ৩০০টি ভোট। বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান থাকা ৬৮ বছর বয়সী রাধাকৃষ্ণন বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিভিন্ন সংসদীয় কমিটিতেও সক্রিয় ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তিনি একজন ‘অসাধারণ উপ-রাষ্ট্রপতি’ হবেন এবং ‘সংবিধানিক মূল্যবোধ আরও শক্তিশালী করবেন। এই নির্বাচনের গুরুত্ব এই জন্যও বেশি ছিল, কারণ জুলাই মাসে হঠাৎ করে জগদীপ ধনখড়ের স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের কারণে এটি অনুষ্ঠিত হয়। ধনখড় ২০২২ সালের আগস্টে এই পদ গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর থাকার কথা ছিল ২০২৭ সাল পর্যন্ত। তার পদত্যাগের পর বিভাজন দেখা দেয়, কিছু বিরোধী নেতা অভিযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বের সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল। তবে ধনখড় নিজে বলেছিলেন, স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি পদ ছাড়ছেন। অন্যান্য দলের নেতারা দাবি করেছিলেন, এর পেছনে আরও গভীর কারণ থাকতে পারে। মোদি এ বিষয়ে শুধু তার স্বাস্থ্য শুভকামনা জানিয়েছেন এবং পদত্যাগের কারণ সীমিত রাখতে চেয়েছেন। পরে, কেন্দ্রের নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে জানা যায় যে, এই নির্বাচনে মোট ৭৫৪ ভোট পড়েছিল, যার মধ্যে ১৫টি অকার্যকর বলে ঘোষণা করা হয়। বৈধ ভোটের মধ্যে রাধাকৃষ্ণন পান ৪৫২ এবং রেড্ডি পান ৩০০ ভোট। রাধাকৃষ্ণনের জন্ম ১৯৫৭ সালে ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে। কৈশোরে তিনি জাতীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) অংশ হয়ে ওঠেন, যা ভারতের বিজেপির আদর্শিক ভিত্তি। তিনি ধীরে ধীরে পর্যায়ক্রমে বিজেপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে উন্নীত হন এবং রাজ্য সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে কোয়েম্বাটুরের আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব ও বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়ার দক্ষতা এ নতুন দায়িত্বে সহায়ক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শপথ নেওয়ার আগে অবশ্য তাকে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হবে। ভারতের সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণে, উপরাষ্ট্রপতি হলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদধারী। তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন, এবং রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে সাময়িকভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও তিনি গ্রহণ করেন।