দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে মূল্যসূচকের বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন সামান্য কমে গেছে। একই সঙ্গে বেশির ভাগ কোম্পানি এবং বেশির ভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার দাম ডাউন হয়েছে। তবে কিছু ‘পচা’ বা ‘জেড’ স্তরের কোম্পানির শেয়ার মূল্য বাড়তে শুরু করেছে।
বেশ কিছু ভালো কোম্পানির দামও পতনের মুখে পড়েছে, যার ফলে দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে শেয়ার দাম কমার তালিকা দীর্ঘ হয়েছে। এর পাশাপাশি মূল সূচকেও হ্রাস পরিলক্ষিত হয়েছে। যদিও লেনদেনের পরিমাণ মোটামুটি ছিল, তা ছিল ১৪০০ কোটি টাকার আশেপাশে। এই লেনদেনের মাধ্যমে চলতি বছরে দুবার ১৪০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় বেশির ভাগ কোম্পানি ও ইউনিটের নাম এসেছে। সেখানে মূল্য সূচকও বেড়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
দিন শেষে ডিএসইতে সব খাতের মিলিতভাবে দাম বাড়ার তালিকায় ১২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের নাম দেখা গেছে, যেখানে দাম কমেছে ২২৩টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টি শেয়ার।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পূর্ববর্তী দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬২৭ পয়েন্টে। ঐতিহ্যবাহী ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বাড়ে ২১৯১ পয়েন্টে উঠেছে, আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ৪ পয়েন্টে রেখে অবস্থান করছে ১২২৫ পয়েন্টে।
অর্থাৎ, ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৪০০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা আগের দিনের লেনদেন ১৪৪১ কোটি ৯০ লাখ টাকার থেকে কমে গেছে ৪১ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর ফলে গত দুটি কার্যদিবসের লেনদেনের মোট পরিমাণ ১৪০০ কোটি টাকার উপরে রয়েছে।
অন্যদিকে, সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ৪৮ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৭টির দাম বেড়ে গেছে, ১১১টির দাম কমেছে এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যেখানে আগের দিনের লেনদেন ছিল ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।