শিক্ষা উপদেস্টার সরকারের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিতে বেগবান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-শিক্ষাব্রতী সংগঠনগুলো। রোববার সকাল ১০টার পর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান নেয় হাজারো শিক্ষক ও কর্মচারী, যা ব্যাপক সংখ্যায় সারা দেশের সংগঠিত অংশগ্রহণের কারণে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর পাশাপাশি, জাতীয় প্রেসক্লাব, সচিবালয় ও মেট্রোরেল স্টেশনের প্রবেশপথে সাধারণ মানুষের চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা জানান, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান চলমান থাকবে, এবং পরিস্থিতির অবনতির কারণে জোটের মহাসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, ভবিষ্যতে লাগাতার কর্মবিরতির সম্ভাবনাও রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষক সমাবেশে লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী জমায়েত হয় και শিক্ষা উপদেষ্টা আশ্বাস দেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বেসিকের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি। কিন্তু দুই মাসের বেশি সময় পার হলেও এই প্রতিশ্রুতির প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি, যাের ফলে ক্ষুব्ध শিক্ষকরা আন্দোলন জোরদার করেছেন। সূত্র জানায়, আন্দোলনের চাপের মুখে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ৫ অক্টোবর একটি নতুন প্রস্তাব পাঠানো হয়, যেখানে বাড়ি ভাড়া ২০ শতাংশ নির্ধারণ ও উৎসব ভাতার শতকরা হার ৭৫ ভাগে উন্নীত করার প্রস্তাব রয়েছে। একইসঙ্গে, মেডিকেল ভাতাও এক হাজার টাকা করতে সম্মত হয়েছে শিক্ষা উপদেষ্টা। তবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে এই দাবিগুলোর বাস্তবায়নের জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে বহাল থাকছে।