বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার জন্য এখন একটি সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনঃস্থাপনের একমাত্র কার্যকর পথ হলো সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপক্ষে নির্বাচন। শুধুমাত্র কয়েকজনের একটি দল আইন করলেও দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পূর্ণতা পাবে না, এটি মানতে হবে। তিনি এ সব কথা গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় বলেন।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, যতই আমরা বিভিন্ন সংস্কার করি, বা বুদ্ধিজীবীরা নতুন কৌশল আবিষ্কার করুক, তবুও যদি নির্বাচনের মাধ্যমে ন্যায্য ও স্বচ্ছ সরকার প্রতিষ্ঠা করা না যায়, তবে আমরা গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বীকৃতি পেতে পারি না। তিনি মানসিকভাবে মুক্তির জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ অধ্যাপক নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মাঝে গণতন্ত্রের চেতনাটা প্রবল। তারা বারবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে দেশকে স্বাধীন করার জন্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই দীর্ঘ সংগ্রামে তারা বারবার হোঁচট খেয়েছে। তবে প্রত্যেকবার উঠে দাঁড়িয়ে আবার আন্দোলন চালিয়ে যায়, অবশেষে বিজয় লাভ করে।
তিনি অবিচলভাবে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা প্রচুর অপবাদ পেয়েছেন। তবে শুধু ‘হাসিনা’ বলে সম্মান জানানো উচিত বলে মনে করেন। তিনি আরও বলেন, মনস্টার হাসিনা দেশের সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছেন। বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা—সব ক্ষেত্রেই তার অবদান অবিশ্বাস্যরকম ক্ষতিগ্রস্ত।
ফখরুল আর বলেন, কিছু কিছু মানুষ বা সংগঠন জুলাই আন্দোলনকে নিজেদের আন্দোলন দাবী করে থাকেন। কিন্তু সত্যিই গণতন্ত্রের পথ অনুসরণ করতে চাইলে, বিএনপি এসব লড়াইয়ের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে বক্তব্য দেন শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। তিনি ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি তুলে ধরেন এবং বলেন, তখনও এবং আজও, জিয়া পরিবারের পাশে থাকছে জনগণ। ফ্যাসিস্ট শাসকশ্রেণির বিরুদ্ধে তারেক রহমান সোচ্চার, ছিলেন এবং আছেন। যারা ‘পিআর’ পদ্ধতিকে প্রাধান্য দেয়, তারা আসলে নির্বাচনে বিশ্বাস করে না এবং গণতন্ত্রকেও ছেড়ে দেয়। তিনি বলেন, আমাদের আগে বাংলাদেশ, দিল্লি বা পিন্ডি কারো আগে নয়—শুধু বাংলাদেশের জন্যই আমাদের প্রথম স্থান আছে।
সভায় দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।






