আসন্ন ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা কম, বরং হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, এই আসরটি ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে টিকিটের দাম গত ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নেতিবাচক পরিবর্তনের কারণে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরা এখন স্টেডিয়ামে গিয়ে ম্যাচ দেখার সুযোগ হারানোর আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
নির্বিশেষে দামের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখে বোঝা যাচ্ছে, বিশেষ করে সাধারণ দর্শকদের জন্য নির্ধারিত ‘ক্যাটাগরি ৪’-এর টিকিটের দরে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। তুলনামূলকভাবে যা খুবই উল্লেখযোগ্য। এই দামের পরিবর্তনের ফলে, কাতার বিশ্বকাপে যে মূল্যে কিছুটা হলেও সস্তা টিকিটে খেলা দেখা যেত, এবার একই আসন পেলেও আরও বেশী অর্থ খরচ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, ফাইনালের সর্বনিম্ন টিকিটের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২,০৩০ ডলার, যা আগে থাকা সবচেয়ে দামী টিকিটের চেয়েও বেশি। ইনফ্যাকাউন্ট, ফাইনাল ম্যাচের সাধারণ টিকিটের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারিত হয়েছে ৬,৩৭০ ডলার পর্যন্ত।
এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই লিখেছেন, ‘এমন দামে বিশ্বকাপ দেখা এখন কেবল ধনীদের জন্য সীমাবদ্ধ।’
মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ফিফার নতুন ‘ডাইনামিক প্রাইসিং’ নীতিকে দায়ী করা হচ্ছে। এই নীতির আওতায়, ম্যাচের চাহিদা বাড়লে টিকিটের দাম আরও বাড়ানো হবে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ব্যবস্থা মূলত বিদেশি দর্শকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ তারা শেষ মুহূর্তে চড়া দামে টিকিট কিনতে বাধ্য হবেন।
এছাড়া, ফিফা টিকিট পুনর্বিক্রিও যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ ফি নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বৈধভাবে টিকিট বিক্রি আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। হেল্প হোটেল বা আতিথেয়তা প্যাকেজের টিকিট বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। সব মিলিয়ে, ২০২৬ বিশ্বকাপ যে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, এই সব তথ্য খুবই স্পষ্ট করে দিচ্ছে।