মেক্সিকোতে চলমান প্রবল বর্ষণের কারণে গত এক সপ্তাহের মধ্যে কমপক্ষে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভেরাক্রুজ রাজ্য এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মেক্সিকো সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের প্রভাবে দেশজুড়ে ভারী বর্ষণ হয়েছে। এর ফলে ভেরাক্রুজ, পুয়েবলা, হিডালগো, কুয়েরেতারো এবং সান লুইস পোতোসিসহ পাঁচটি রাজ্যে ভূমিধস ও প্রাকৃতিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভেরাক্রুজে ১৮ জন, হিডালগোতে ১৬ জন, পুয়েবলায় নয়জন এবং কুয়েরেতারোতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে, কিছু সংবাদমাধ্যম যেমন এল ইউনিভার্সাল জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ৪৮।
প্রশাসন আরও জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ১৬ হাজার বাড়ি। চলমান বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিশেষ করে, গত ৬ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মৌসুমি ঝড় প্রিসিলা ও রেমন্ডের প্রভাবে ব্যাপক ভারী বর্ষণ হয় মেক্সিকো জুড়ে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভেরাক্রুজে তিন দিনের মধ্যে ৫৪০ মিলিমিটার (প্রায় ২১ ইঞ্চির বেশি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
১৪ অক্টোবরের পর থেকে ঝড় ও বৃষ্টির তেজ কমতে শুরু করে। এই সময়ে উদ্ধার ও ত্রাণ কর্মসূচিতে সামরিক বাহিনী ও দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে। দুর্যোগ দপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রবল বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে ভবনসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম বলেন, উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে দ্রুত বাস্তুচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের সহযোগিতা দেওয়া যায়।