অতিসংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য বিপিএল আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিসিবির নতুন কমিটির পরিকল্পনা অনুযায়ী এবারের আসর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই মধ্যে বিভিন্ন প্রস্তুতি ও কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা দরকার, যা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। এই সময়ের মধ্যে প্রথমে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মালিকানা নির্ধারণের কাজ বাকি রয়েছে; ইতোমধ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনার জন্য আগ্রহপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহী বা মালিকানা পাওয়ার জন্য আবেদন ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রহণ করা হলেও, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অনেক কাজ বাকি রয়েছে। আবেদন পর্যালোচনা, আইনি ও আর্থিক সক্ষমতা যাচাই, চুক্তি সই, বিপণন, পৃষ্ঠপোষকতা, সম্প্রচার স্বত্ব, বিদেশি ক্রিকেটারদের ড্রাফট, নিরাপত্তা, ভেন্যু সংস্কার, সরঞ্জাম ও হোটেল ব্যবস্থাপনা—এসব কাজ হাতে নিলে সময় লাগবে বেশ কটি সপ্তাহ। দ্রুত এ সব সম্পন্ন করতে যাবে বিপর্যয়ের ঝুঁকি। এই পরিস্থিতি বোঝা যায়, এর আগে অভিজ্ঞতা থেকে বোর্ডের সহসভাপতি ফারুক আহমেদ আগেরবারের মত পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন, ‘সময় খুবই কম। অনেক কাজ বাকি। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।’ পাশাপাশি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমানও স্বীকার করেছেন, ‘অতি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব।’ আসন্ন তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের দুটি টি-২০ সিরিজের পাশাপাশি ভারতের ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ। এর মধ্যেই আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। তবে চলমান অন্যান্য আন্তর্জাতিক লীগ যেমন অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ, শ্রীলংকা প্রিমিয়ার লিগ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-২০ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টি-২০ চলমান থাকায় বিদেশি ক্রিকেটারদের সমন্বয় ও অংশগ্রহণের ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ঘোষণা, তাদের ক্রিকেটাররা বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে পারবেন না। ফলে এবারের বিপিএলের জন্য উপযুক্ত বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ছে। সব মিলিয়ে, বিসিবির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে এই আয়োজন, যেখানে সময়ের ব্যাপক চাপ তার উপর।