কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারে অবস্থিত একটি ক্লিনিকে দীর্ঘ সময় ধরে দেহ ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকাবাসী সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে একটি অভিযুক্ত ব্যক্তকে হাতেনাতে আটক করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই ক্লিনিকের মালিক আব্দুল মোমিন দীর্ঘ সময় ধরে কাছাকাছি জেলার নারী এনে ক্লিনিকের আড়ালে বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তারা একাধিকবার সরাসরি স্থানীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা পাননি। পাশাপাশি, সন্দেহজনক নারীদের সেখানে দেখা যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার রাত আটটার দিকে এলাকাবাসী সন্দেহজনক অবস্থায় সাতক্ষীরার এক নারী ও এক যুবককে ধরে ফেলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্লিনিকের মালিক মমিন মোল্লাকে ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার ফুপাতো ভাইয়ের মাধ্যমে স্বয়ংversation করেন এবং পরে তার সঙ্গে কথা বলতে চান। এর আগে, ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান বলেন, এই ধরনের দেহ ব্যবসার অভিযোগে এলাকাবাসী hand-তাতে আটক করার খবর তিনি শুনেছেন। তিনি জানান, এই ধরনের অভিযোগের বিষয়ে তারা সরাসরি কোনো কিছু করতে পারেননি, কারণ এই ক্লিনিকের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং তদন্তের ওপর ভিত্তি করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে, দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আখতারুজ্জামান লিটন বলেন, অনুরোধে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অধ্যাপক ডা. মো. তৌহিদুল হাসান তুহিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।






