সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে এক মা নবজাতককে খালে ফেলে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা ঘটে যখন মা সন্তানের পরপর দুই কন্যা শিশুর জন্ম দেওয়ার পর ক্ষোভে অব্যক্ত হয়ে উঠেন। ঘটনাটি গুরুতর অভিযোগে পরিণত হয়, এবং পুলিশ মা শারমিন আক্তারকে (৩২) গ্রেপ্তার করে।
ঘটনায় জানা যায়, সোমবার রাতে প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাতেই শিশুর বাবা ইব্রাহিম খলিল (৪২) থানায় এসে জানায়, তার নবজাতক সন্তান নিখোঁজ। তবে তার বক্তব্য সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন আক্তার স্বীকার করেন, তিনটি কন্যাসন্তান হওয়ার পর তার মনে ক্ষোভ ও কষ্ট জন্মায়। তিনি মর্মান্তিকভাবে সিদ্ধান্ত নেন, নবজাতক শিশুটিকে বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেন।
পুলিশ তৎক্ষণাৎ শিশুটির মরদেহ খালের কচুরিপানার মধ্যে খুঁজে বের করে। পরে তা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শিশুর দাদী খাদিজা খাতুন একটি শিশু হত্যা মামলাসহ স্থানে উপস্থিত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
মামলার তদন্তের স্বার্থে শিশুর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ আনেন শিশুটির দাদি, যার ভিত্তিতে মা শারমিন আক্তারকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবাই আশ্বস্ত হতে পারেননি; স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন।






