জয়া আহসান বর্তমানে তার ক্যারিয়ারে অন্যতম সফল সময় কাটাচ্ছেন। এই বছর তিনি দুটি বাংলার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘হাফ ডজন’ সিনেমা। কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গে ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’ ছাড়াও জুলাই ও আগস্ট মাসে তার অভিনীত দুই সিনেমা ‘ডিয়ার মা’ এবং ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ মুক্তি পেয়েছে। এই সিনেমাগুলিতে তার পারফরম্যান্স ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। সম্প্রতি তিনি আরআরকে পডকাস্টে অংশ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কাজের সুযোগ, দেশের সিনেমা ও শিল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় মাতেছিলেন।
কলকাতায় কাজ শুরু করার সময় জয়া আহসান বলেন, “আমি একজন শিল্পী, তাই আমাকে কাজ করতে হবে। অভিনয় ছাড়া আমি অন্য কিছু পারি না। তখন আমি বাংলাদেশের মধ্যে ভালো কাজ পাচ্ছিলাম না। এই অভাব এবং শিল্পের প্রতি আমার গভীর আকাঙ্ক্ষা থেকেই আমি কলকাতায় যাই।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, দেশের চলচ্চিত্রে কাজ করতে হলে পরিচালকদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকা জরুরি। তবে তাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক সবসময় ভালো হয়নি। “যে পরিচালকদের জন্য আমি সবসময় হাজির থাকতাম, তারা আমাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি বা ব্যবহার করেনি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অনেক সময় পরিচালকরা তাদের বন্ধু বা স্ত্রীকে নিয়েই কাজ করেন। আমি পারি না এই ধরনের সম্পর্কের মধ্যে কাজ করতে। এজন্য আমি অনেক সময় কর্নারড হয়েছি, পুরো প্রাণ দিয়ে হলেও। তবে এটি কলকাতায় হয়নি। সেখানে একজন বিদেশি শিল্পী হিসেবে আমাকে মূল্যায়ন করা হয়, ভিন্নভাবে দেখা হয়। তারা আমাকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দেয়, গল্পের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলে ধরেন।
জয়া আরও বলেন, “এখনও বাংলাদেশে অনেক পরিচালক নারী 중심 গল্পে কাজ করতে ভয় পান বা করলেও তাদের বান্ধবী বা স্ত্রীকে জন্য চান। কিংবা বড় বড় তারকা দিয়ে কাজ করতে চান। পিউর আর্টিস্ট হিসেবে আমার মতো শিল্পীদের নিয়ে বাজি ধরতে তারা ঘৃণা করেন। তবে এর বাইরেও অনেক ডায়নামিক পরিচালক আছেন, যারা আমার বা আরও গুণী অভিনয়শিল্পীদের কাছ থেকে ভালো কাজ বের করে আনেন, কিন্তু তারা তা করেননি।”
গত বছর বলিউডে অভিষেক হয় জয়ার। এরপর করুণ জোহরের ‘ধর্মা প্রোডাকশন’ থেকে ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। তবে নানা কারণে সেটি থেকে অনেক আগে সরে আসতে হয় তাকে।
জয়া বলেন, “এটা এক অনন্য প্রজেক্ট ছিল। নানা কারণে সেটি করতে পারিনি। মন খারাপের কিছু নয়; ভাগ্য যা লিখে রাখে, সেটা হবেই। এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই।”
সম্প্রতি জয়া শেষবার activiteit হিসেবে দেখা গেছে ‘ফেরেশতে’ সিনেমায়। এটি বাংলাদেশের ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত একটি সিনেমা। পরিচালনা করেছেন ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ। এই সিনেমায় তার পাশাপাশি শিহীদুজ্জামান সেলিম, শাহেদ আলী, রিকিতা নন্দিনী শিমু ও সুমন ফারুকের মতো শিল্পীরাও অভিনয় করেছেন।