তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ গ্যাস ব্যবহার ও সংযোগের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালিয়ে আসছেন। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে নিয়োজিত স্বতন্ত্র ম্যাজিস্ট্রেট এবং তিতাস গ্যাসের নিজস্ব দল বিভিন্ন এলাকা বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপকভাবে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করছে। এগুলি দিয়ে অনেক দুষ্কৃতকারী জালিয়াতি করে অবৈধভাবে গ্যাসের অর্থ উপার্জন করছে। recent এই ধরনের অভিযান চলাকালীন গত ২৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ময়মনসিংহের চর রঘুরামপুর থেকে নেত্রকোনা গামী ৬ ইঞ্চি ১০০০ psig সঞ্চালন পাইপলাইনের শম্ভুগঞ্জ এলাকায় অবৈধভাবে চুনা কারখানা গ্যাস সংযোগের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ সময় টার্গেট করে দুটি সার্ভিস লাইন স্থাপন করা হয়, যা থেকে গ্যাসের লিকেজের সৃষ্টি হয়। নিয়মিত অভিযান ও অডিটের অংশ হিসেবে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অবৈধ সংযোগে জড়িত ১৫ জনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে জানিয়েছেন যে, অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। অবৈধ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দ্রুত নেওয়া হবে। ওই অভিযানে গত এক বছর ধরে পরিচালিত বিভিন্ন স্তরের অভিযান চালিয়ে মোট ৭১,৮০৭টি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৮৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান, ৫২০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও ৭০,৮৯৮টি আবাসিক গ্রাহককে সরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, অভিযানের অংশ হিসেবে ২৯১.৩ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে। এই ধারাবাহিক উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও নাগরিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে তিতাস গ্যাস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।






