চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বিএনপি নেতা আলমগীর আলমসহ দুজন যুবদল নেতা আহত হয়েছেন। এই ঘটনা ঘটে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, এতে আলমগীর আলম (৫৫) নামে একজন নিহত হন। তার সাথে গোলাগুলিতে রিয়াজ ও আকিব নামের আরও দুই যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত আলমগীর আলম রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজান এলাকার সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির আবদুস সত্তারের ছেলে। তার ছেলে আসফায়েত হোসেন জানান, শনিবার দুপুরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে তারা পূর্ব রাউজানের রশিদ পাড়ায় ফু ফুুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে কায়কোবাদ আহম্মদ জামে মসজিদের সামনে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, যার ফলে বাবার মৃত্যু হয়। রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া আরও বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিহত আলমগীরের মরদেহ সড়কের পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আলমগীরকে কে বা কারা গুলি করেছে সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ পরে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং সুরতহাল শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। বিএনপি নেতাজন এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, আলমগীর দীর্ঘ ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছিলেন। তাকে প্রকাশ্যভাবে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এছাড়া, গত ৭ অক্টোবর উপজেলায় বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিমকেও (৫২) হত্যা করা হয়, যখন তিনি খামার বাড়ি থেকে ফিরে আসছিলেন। এ ঘটনা নতুন করে রাজনৈতিক সহিংসতার দাগ সৃষ্টি করেছে। উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্টের পর রাউজানে মোট ১৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সংঘটিত বলে জানা গেছে।






