বাংলাদেশের উদীয়মান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘কৃষি’ নতুন এক যুগের সূচনা করল মধু খাওয়ার মাধ্যমে। এই প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে ‘হ্যানি স্যাচেট’ নামে একটি অভিনব মধু প্যাকেজিং পদ্ধতি, যা মধু খাওয়ার অভ্যাসকে আরও সহজ, ঝামেলা মুক্ত এবং উপভোগ্য করে তুলবে।
অনুষ্ঠানে ‘কৃষি’ তাদের মিশন ও দীর্ঘদিনের সংগ্রামের গল্প তুলে ধরে। তারা দেশের গ্রামীণ মানুষ, কৃষক ও প্রাকৃতিক মাটির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য—শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষ যেন গ্রামের স্বাদ ও নিরাপদ কৃষি পণ্য সহজে উপভোগ করতে পারে। এজন্য তারা স্থানীয় উপকরণ দিয়ে পুষ্টিকর খাবার তৈরি করছে, যা আধুনিক জীবনের প্রয়োজন ও সুবিধার কথা মাথায় রেখে সাজানো।
এই উদ্ভাবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ‘হ্যানি স্যাচেট’। প্রচলিত জটিল বোতল বা প্যাকেজিং নয়, এই ছোট্ট স্যাচেটটি সহজে ব্যাগ বা টিফিনবক্সে রাখা যায়। যে কেউ যে কোনো সময় নিরাপদ মধু উপভোগ করতে পারবেন, ফলে মধু এখন দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের একটি অংশ হয়ে উঠবে। এটি সব বয়সের জন্য উপকারী ও স্বাস্থ্যের জন্য আদর্শ।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল, অতীশ দিপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মিহির লাল সাহা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এমডি. কাইয়ুম হোসেন এবং অন্যান্য স্বনামধন্য শিক্ষক, ডাক্তার ও পুষ্টিবিদ। তাঁরা ‘হ্যানি স্যাচেট’ এর সম্ভাবনা ও এর মাধ্যমে বিকাশের ধারনা নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশের মধু বিশেষজ্ঞ সৈয়দ মোহাম্মদ মইনুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের উচিত নিয়মিতভাবে ভেজাল মুক্ত মধু খাওয়া। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ভেজাল মধু পরীক্ষার জন্য প্রচলিত আগুন পরীক্ষা, পানি পরীক্ষা বা পিপড়া পরীক্ষাগুলি বিজ্ঞানসম্মত নয়; এগুলি সম্পূর্ণ ভুয়া।
শেষে, ‘কৃষি’ নিশ্চিত করে যে—‘হ্যানি স্যাচেট’ শুধুমাত্র একটি পণ্য নয়, এটি আমাদের জীবনধারায় নতুন এক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার মিশন অব্যাহত রেখেছে। আগ্রহী ক্রেতাদের জন্য ‘কৃষি’র ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।






