ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলার ঘটনা ঘটে যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলার নির্দেশ দেন। প্রথমে রাফাহ অঞ্চলে বন্দুকযুদ্ধে একজন ইসরায়েলি সৈন্য আহত হওয়ার পর নেতানিয়াহু এই হামলার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
অভিযোগ উঠেছে যে, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই উত্তেজনাকর কর্মকাণ্ডের জন্য অভিযোগ তোলে। সেইসঙ্গে, তারা জানিয়েছে যে, নিখোঁজ এক বন্দির মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া এখনও স্থগিত রয়েছে। হামাস সতর্ক করে দিয়েছে, যদি ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বড়সড় কোনও উস্কানি দেওয়া হয়, তবে গাজায় মরদেহ উদ্ধারের কার্যক্রম ব্যাহত হবে এবং জিম্মিদের মরদেহের উদ্ধার বিলম্বিত হবে।
তবে, ইসরায়েলের এই হামলার মধ্যেও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো. ডি. ভ্যান্স দাবি করেছেন যে, যুদ্ধবিরতি এখনও টেকটা রয়েছে। তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুচরা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা জানি যে গাজায় কেউ কেউ ইসরায়েলি সৈন্যের ওপর আঘাত হেনেছে। আশা করি, ইসরায়েল জবাব দেবে, তবে আমি মনে করি শান্তি স্থিরভাবেই থাকবে।’
এদিকে, হামাস এই ঘটনাকে গাজার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলেছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ইসরায়েল কমপক্ষে ৯৪ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং মানুষকে জরুরি ত্রাণ পৌঁছানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে এই শেষ ইসরায়েলি হামলাকে যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করে অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে তারা চুক্তির অনুসারে চলছেন।
হামাস নেতা সুহাইল আল-হিন্দি আল জাজিরাকে বলেছেন, মরদেহ উদ্ধারে তাদের কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং বাকি মরদেহের উদ্ধারকাজ বিলম্বিত হওয়ার কারণও ইসরায়েলের ওপরই বর্তায়।






