জনগণের সম্মতি ছাড়া কোনো উদ্যোগই বাস্তবায়ন ও সফলতা লাভ করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি উল্লেখ করেন, নিজস্ব স্বার্থে কিংবা চাপের মুখে গণতন্ত্র চাপিয়ে দেয়া সম্ভব নয়; গণতন্ত্রের প্রকৃত মানে হলো জনগণের গ্রহণযোগ্যতা ও সম্মতি। এই বিষয়টি সমাজের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য অপরিহার্য।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে তরুণদের নিয়ে আয়োজিত ‘ইউথ পারসপেকটিভস অন সোশাল প্রোগ্রেস: গ্রাসরুটস, নেটওয়ার্কস অ্যান্ড লিডারশিপ ভয়েসেস’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এই সম্মেলনের আয়োজন করে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সচেতনতা থাকা অপরিহার্য। তিনি আরো বলেন, নাগরিকদের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো সামাজিক পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। হতাশা আসতে পারে, তবে মনোবল হারানো উচিত নয়; সমস্যা থাকলেও পরিবর্তনের জন্য স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেই পরিবর্তন আনার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সম্মেলনে সূচনা বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, তরুণদের মতামত ও আকাঙ্ক্ষাগুলো বোঝার জন্য তাদের কথা গুরুত্বের সঙ্গে শোনা উচিত। সমাজে তরুণরা কীভাবে অংশগ্রহণ করছে, কোন বিষয়গুলো তারা গুরুত্ব দিচ্ছে, এই প্রক্রিয়ায় তাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, ২৪-এর আন্দোলনের পর বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে। যেখানে ‘ইনক্লুসিভিটি অ্যান্ড জাস্টিস’ ও ‘কালেক্টিভ অ্যাকশন’ মূল বিষয়। সমাজে একটি সত্যিকারের শুভ পরিবর্তন আনার জন্য শুধু তরুণরা নয়, সব প্রজন্মের অংশগ্রহণ অত্যাবশ্যক বলে তিনি মন্তব্য করেন। হোসেন জিল্লুর রহমান মনে করেন, এমনকি বর্তমান পরিস্থিতিতে এগিয়ে যেতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও দায়িত্বশীলতা অপরিহার্য।
 
	    	






