বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিশ্বস্ত ভাষায় বলেছেন, ‘আমাদের দেশে নির্বাচন এলেই ধর্মের অপপ্রয়োগের চেষ্টা দেখা যায়।’ তিনি আরো যোগ করেন, ‘বাংলাদেশের আশি দুই শতাংশ মানুষ মুসলমান। আমরা মদিনার সেই ইসলামের বিশ্বাসী, যা আমাদের প্রেরণা দিয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সেই আদর্শ ইসলামে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমরা মওদুদীর ইসলামকে মানি না। যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে সমাজের বিভাজন করতে চায়, তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’ শনিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে কাসেমী পরিষদের আয়োজনে ‘আজমতে সাহাবা’ মহা সম্মেলনে তিনি এই ভাষণে এসব কথা উল্লেখ করেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘হাসিনার সরকার ছিল ইসলামবিদ্বেষী ও মুসলিমবিদ্বেষী। তারা আলেমদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। আল্লাহর হুকুমে তাদের রাজনীতি কিভাবে শেষ হয়েছে, তার ইতিহাস আমাদের জানা। আমাদের জন্য দরকার সত্যিকার ইসলামি আদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা দীনকে আগে মনে করে এবং দুনিয়াকে পরে দেখে, তারা প্রকৃত মুসলমান। যারা ইসলামকে অপব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেয়, তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। রাজনীতি অবশ্যই মানুষের কল্যাণে।’ সালাহউদ্দিন আহমেদ শেষ করে জানান, আওয়ামী লীগের নেতিবাচক নীতি থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং মানুষের জন্য, ইসলামের পক্ষে সত্যিকারভাবে রাজনীতি করতে হবে। এই মহাসম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ধারণা ব্যক্ত করে বলেন, ‘দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের পরাজিত শক্তি আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ দরকার।’ মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘যারা নবীর সাহাবাদের নাম নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে বা পুজা-রোজার এক বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, তাদের প্রতি আমাদের ধৈর্য্য হারানো উচিত নয়। যারা বিশ্বাসের দিক থেকে সঠিক, তাদের ভোট দেওয়া অবশ্যই জায়েজ।’ সভাপতির বক্তব্য ও পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউস, সহ-অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মাশুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খান, আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ইত্যাদি বিশিষ্ট আলেম ও নেতৃবৃন্দ।






