ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শতাব্দীপ্রাচীন পুকুরপাড়ে দীর্ঘকাল ধরে চলাচলের পথে দখলদারিত্বের কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে ৩৫টি পরিবার। এই রাস্তাটি মূলত ভূমিহীন পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এখান দিয়ে তারা সহজেই যাতায়াত করতেন, অসুস্থ বা জরুরি মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করত। তবে, চরফ্যাশন উপজেলার মৎস্যজীবিলীগের সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ পালোয়ান এবং তার ছেলে এই রাস্তা দখল করে পাকা বসতঘর নির্মাণ করেছেন। এতে রাস্তার চওড়া কমে গেছে মাত্র দেড় ফুটে, যা আগে ছিল ছয় ফুট। বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করলেও, তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে দখলকাজ চালিয়ে যান। এই রাস্তা দখলের ফলে অসংখ্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার তাদের চলাচলে বাধা পেয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, আগে এখান দিয়ে বহনযান চলাচল করত এবং জরুরি চিকিৎসা বা আগুন লাগলে দ্রুত সহায়তা পাওয়া যেত। এখন অচল হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনোযোগের অভাবে এই অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে চলছে। ভুক্তভোগী মালেক পালোয়ান বলেন, ‘এখন রাস্তার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে দৈনন্দিন দরকারি কাজকর্মও বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে, অসুস্থ রোগী বা দুখে যান, তাদের জন্য অন্যথায় সমাধান নেই। কেউ মারা গেলে খুঁজে পান না লাশের চলাচলের পথ। বৃদ্ধেরা মসজিদে যেতে ছোট পথের জন্য অর্ধঘণ্টার পথ ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।’ প্রতিবেশী ও ভুক্তভোগীরা জানান, যদি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বা অসুস্থ কেউ থাকেন, তাহলে পরিস্থিতি গুরুতর হবে। অভিযুক্ত শফিউল্লাহ পালোয়ান নিজের সম্পত্তি ভেবে বলছেন, ‘আমি আমার সম্পত্তির মধ্যে ঘর নির্মাণ করেছি।’ স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তারা তদারকি করছে এবং তদন্তের জন্য চরফ্যাশন পৌরসভার প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে স্থানীয়রা আশ্বস্ত করছেন দ্রুত সমাধান না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে বলে।”






