জয়পুরহাট-১ আসন, যা পূর্বে বিএনপির আদর্শঘাঁটি হিসেবে পরিচিত, বর্তমানে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী মোঃ মাসুদ রানা প্রধানের ঘোষণা এই অঞ্চলের রাজনৈতিক অঙ্গনকে উত্তেজিত করে তুলেছে। এই আসনটি জয়পুরহাট ও পাঁচবিবি উপজেলার সঙ্গে জড়িত, যেখানে বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান আছে। ১৯৮৪ সালে এই আসনটি গঠিত হওয়ার পর থেকে, ১৯৮৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট দশবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি চারবার বিজয়ী হয়েছে। এর মধ্যে ২০০৮ সালে বিএনপি বর্তমান বিরোধীদল হওয়ার সময়ও এই আসনটি ধরে রেখেছিল। তবে ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, এবং ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ এই আসনে জয়লাভ করে। বর্তমানে এই আসনটি বিএনপির দীর্ঘদিনের নেতা ফয়সল আলিম এবং মাসুদ রানা প্রধানের মধ্যে মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। ফয়সল আলিম তৎকালীন সংসদ সদস্য ছিলেন এবং বিএনপির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে জয়পুরহাট-১ আসনে টিকে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। আশপাশের জেলা বগুড়া ও নওগাঁ থেকে আসা প্রার্থীর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ কঠিন। তবে, অনেকে মনে করছেন, এই আসনে জামায়াতের প্রভাব ও কিছু দুর্বল দিক মনোনয়ন নিয়ে বোঝাপড়া তৈরি করতে পারে। জামায়াতের নেতারা প্রার্থীর দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরছেন, যেমন চাঁদাবাজি, আওয়ামী লীগ কর্মীদের পুনর্বাসনে হস্তক্ষেপ, অর্থ লেনদেন ও স্থানীয় کمیিটিগুলোর গঠন নিয়ে অভিযোগ। এর ফলে, এলাকার সাধারণ ভোটার ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি বিএনপি একজন পরিষ্কার ইমেজের তরুণ ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থীকে সামনে আনতে পারে, তবে এই আসনে ফলাফল অনেক পরিবর্তন হতে পারে। তবে, জামায়াতের দুর্বলতা ও সংগঠিত প্রচারণা এই নির্বাচনের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতারা। এটি বিএনপির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, কিভাবে তারা দলটির দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠে জামায়াতের প্রভাব থেকে এই আসনটি রক্ষা করতে সক্ষম হন, তা এখন মূল আলোচনার বিষয়।






