জুলাইয়ে গণআন্দোলনের সময় ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তার মামলার রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন সন্ত্রাস ও নাশকতার আতঙ্ক। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে আওয়ামী লীগ এবং এর সংগঠনের কিছু অংশ। এই সময়ে রাজধানীতে গত দুদিনে বেশ কয়েকটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। এতে সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে, জন নিরাপত্তা সংরক্ষণে প্রস্তুত। এঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। সবকিছুর মাঝে জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট মামলার রায়ের দিন, যা ভবিষ্যতে সংঘটিত হতে পারে বড় কোনো অস্থিতিশীলতা। গতকালও বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ধানমন্ডির ১১/এ সড়কে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের খবর এসেছে, যেখানে দুজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে এসে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। এর পাশাপাশি অন্য একটি ঘটনার মাধ্যমে জানা গেছে, রাজধানীর সূত্রাপুরে ফায়ার সার্ভিসের গেটে পার্কিং করা এক বাসে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাগুলোর ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তবে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পুলিশ বলছে, এই ধরনের হামলা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা এবং শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা শহরজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতা বাড়িয়েছেন। সিটিভি ক্যামেরার নজরদারি ও সন্দেহভাজনদের উপর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিমানবন্দরেও সতর্কতা জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সব বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আদালত সাধারণত এই রায়ের ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশজুড়ে সহিংসতা ও নাশকতার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে, এবং বিভিন্ন ধরনের জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, দ্রম্বে রাষ্ট্রের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ঠেকাতে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দারা বন্ধ করে দিতে সচেষ্ট যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার। এছাড়া, দলটির কার্যক্রম গোপনে চালানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রয়োগ করা হয়েছে যাতে কোনও অপুস্করণ ঘটে না। গোয়েন্দারা জানান, ১৩ নভেম্বরের জন্য সরকারি ও দলের নেতাদের নিরাপত্তায় আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে লুকানো নেতাদের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে, যাতে কোনও সহিংসতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন না হয়। সব মিলিয়ে, দেশজুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন পর্যায়ে সতর্কতা ও প্রস্তুতি অব্যাহত রয়েছে।






