জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত আসতে এখন মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা আশা করছেন, রাজনৈতিক দলগুলো এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে, যা দেশের উন্নয়নের পথে গুরুত্বপূর্ণ এক ধাপ।
বুধবার বিকেলে বিচার প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের এক সভায় আইনগত সহায়তা প্রদান বিষয়ক অধ্যাদেশ ২০২৫ খসড়ার সংশোধন প্রস্তাব নিয়ে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। খবরের আলোচনায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, দেশের বিভিন্ন সংস্কার প্রক্রিয়া পাল্টানোর জন্য এখনই সব কিছু পরিবর্তন সম্ভব নয়। বরং ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া চালিয়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদি সফলতা অর্জন সম্ভব। তিনি আরও যোগ করেন, সবাই মনে করেন এখনই সব সংস্কার গুলো সম্পন্ন করতে হবে, কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। এই সকল পরিবর্তন একদিনে হয় না। ধৈর্য্য ও ধারাবাহিকতা দরকার।
নজরুল বলেন, অনেকক্ষেত্রে মনে করা হয় সব কিছু এখনই করা চলে, কিন্তু আসলে বিষয়গুলো অনেক জটিল। বিশেষ করে বিভিন্ন সংস্কার একসাথে করতে গেলে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তিনি বলেন, সংবিধানে অনেক সংস্কার আটকে আছে, যা আসলে সামগ্রিক পরিবর্তনের পথে বড় বাধা। সংবিধান শুধু নথিপত্র নয়, বরং এটি একটি জটিল ধাঁধা, যা পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও জনগণের অভ্যাসের ব্যাপক পরিবর্তন প্রয়োজন।
আইন উপদেষ্টা দেশটির সংবিধানে রাষ্ট্রপতির স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও, বাস্তবে তা সম্পন্ন হয় না বলে উল্লেখ করেন। বিচার বিভাগের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দেয়া প্রস্তাবগুলোর বেশিরভাগই ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই প্রস্তাবগুলোর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই কার্যকর করা হয়েছে, যদিও অপপ্রচার চালিয়ে বলা হয় এখনও সংস্কার প্রয়োজন।
আসিফ নজরুল ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারগুলোকে অনুরোধ করেন, তারা এই সংস্কারগুলো ধরে রাখবে যেন দেশের প্রশাসন আরও শক্তিশালী ও কার্যকর হয়। তিনি সতর্ক করে বলেন, নতুন সরকার এলে তারা যেন এই সংস্কারগুলো এড়িয়ে না যায় বা হিংসাভরে পরিবর্তন করে না। তার জন্য আরও দৃঢ়তা ও দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন। তিনি শেষ করে বলেন, দেশের অগ্রগতির জন্য এই সংস্কারগুলো ধরে রাখা জরুরি, যাতে আগামীর সরকারগুলোও এগুলোর সুফল ভোগ করতে পারে।






