ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আজ শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে ছাত্রশিবিরের এক বিশাল বিক্ষোভ ও সমাবেশ, যা জানিয়ে দেয় জনগণের দাবি সম্প্রসারণের জন্য। এই কর্মসূচি শুরু হয় ঢাকা কলেজ থেকে, এরপর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজউভাস্কর্যে এসে। সেখানে বহিরাগত ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে আসরে পরিণত হয়।
সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি রেজাউল করিম শাকিল ও ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহ। মূল বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতারা ও কর্মীরা।
প্রধান অতিথি জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই প্রতিবাদ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি নতুন সূর্যোদয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, আমরা এখন ফ্যাসিবাদ মুক্ত, সমৃদ্ধ ও স্বাধীকারের নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে আছি। শহীদ পরিবারের দুঃখ-কান্না ও আহতদের রক্ত এখনও ভাষণ দিয়ে যাচ্ছে; অথচ ১৯৭১ সালের জুলাই গণহত্যার বিচার এখনও সম্পন্ন হয়নি। দেড় বছর পার হলেও সরকার কোনো রায় দিতে পারেননি।
তিনি অভিযোগ করেন, যারা জুলাই গণহত্যার দুঃখ ভুলতে চান বা চাচ্ছেন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, তারা দেশের জন্য উপযুক্ত নয়। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে পুনর্বাসনের ঘোষণা দিয়েছেন, যা দেশের জনগণ মানে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, চলমান এই পরিস্থিতিতে দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিপদ হতে পারে।
তিনি দেশের জনগণকে দূর্বলতা ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সরকারি দমন-পীড়ন, আগুন সন্ত্রাস ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। আগামীতে কোনো আগুন সন্ত্রাস কিংবা ফ্যাসিবাদী রাজনীতি না চালানোর জন্য সরকারকে সর্বোচ্চ সতর্ক হতে হবে।
তিনি সরকারি থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই গণহত্যা ও অন্যান্য গণহত্যার বিচার নিশ্চিতের জন্য আহ্বান জানান। এই বিচারই হবে আমাদের দেশের জন্য মূল কাঠামোর সংস্কার, তবে কিছু দল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাধার সৃষ্টি করছে। তাই অবিলম্বে রাষ্ট্রের সকল সেক্টরকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করে গণভোটের আয়োজন করতে হবে, যাতে শহীদ ও আহত পরিবারের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্তর্বর্তী আয়োজনের জন্য ছাত্রশিবির দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানায়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিকসম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী, ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এস. এম. ফরহাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, মহানগর পশ্চিমের সভাপতি হাফেজ আবু তাহের ও মেডিকেল জোনের সভাপতি ডা. যায়েদ আহমেদ।






