যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি বাহিনী অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনির ওপর হামলা, যার ফলে আরও অসংখ্য নিরীহ জীবন জীবিকা হারাচ্ছে। গাজার উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া, গাজা সিটির পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিসে নিয়মিত বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। খবর আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এসব এলাকায় কামান ও অন্যান্য গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
আলজাজিরার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ২৪৫ ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে এবং আরও ৬২৭ জন আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা এখনো বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি খুবই ‘ভঙ্গুর’ এবং বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তিনি সকল পক্ষকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই পরিস্থিতিকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে আলোর Hope জাগ্রত হতে পারে।
সীমান্তের বাইরে লেবাননে ইসরায়েলি হামলার খবরও পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে দক্ষিণ লেবাননে একটি অস্ত্রনির্ভর কেন্দ্র এবং হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত অর্থোজ্জ্বল ভূগর্ভস্থ সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
এদিকে, গাজায় চলমান সংঘর্ষের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৯ হাজার ১৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৯৮ জন আহত হয়েছেন। এই সঙ্কট শুরুর পর থেকে পরিস্থিতি প্রতিদিন গুরুতর অবনতি ঘটছে।
অক্টোবরের শুরুতেই একে অপরের প্রতি আস্থা ভেঙে পড়ে উভয়পক্ষ। ইসরায়েল গাজায় বিভিন্ন এলাকায় চালানো অব্যাহত হামলায়, সাধারণ মানুষের জীবন আরো বিপর্যস্ত হয়ে উঠে। এ পর্যন্ত হাজার হাজার গাছপালা ধ্বংস হয়, যার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিপন্ন এবং রোগ মহামারী ভয়াবহ রূপে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের মেয়র আলা আল-বাত্তার জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় এলাকার শত শত গাছপালা ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন,






