নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ২৫ জন দুস্থ নারী স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য স্বর্ণমেঘের মত একটা সুযোগ পেয়েছেন। এই নারীদের দর্জিবিজ্ঞানের ওপর ১২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ আয়োজন করেছে উপজেলা সমবায় অফিস, যাতে জেলা সমবায় কার্যালয়সহ অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সহায়তা রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক নারীর হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয় এবং বিনামূল্যে একটি আধুনিক সেলাইমেশিন বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠান তাদের জীবনে নতুন আশা ও স্বনির্ভরতা নিয়ে এসেছে।
বৃহস্পতিবার লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ের যুগ্ম নিবন্ধক মো. নূরন্নবী। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের হাতে সনদ ও সেলাইমেশিন তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রিয়াদ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান, মানবপাচার প্রতিরোধ সংস্থার সভাপতি সৈয়দ খায়রুল আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহম্মদ আমানত হোসেন ও জেলা সমবায় অফিসের প্রশিক্ষক মো. হারুন আর রশিদ।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মোসম্মাৎ শিরিনা খাতুন, সাংবাদিক মারুফ সামদানি, জহুরুল হক মিলু, মাস্টার ট্রেইনার এস. এম সাইদুর রহমান ও সহকারি ট্রেইনার ফাতেমাতুজ জোহরা।
জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে দুইজন করে নারী উদ্যোক্তা নির্বাচন করে তাদের দর্জিবিজ্ঞানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের স্বাবলম্বী করতে স্বার্থে বিনামূল্যে সেলাইমেশিন বিতরণ করা হয়।
প্রশিক্ষণ ও সেলাইমেশিন পাওয়ায় অনেক নারী তার জীবনের নতুন সূচনা করেছেন যেমন তাছলিমা বেগম। তার বাড়ি ইতনা ইউনিয়নের ইতনা গ্রামে। পরিবারে স্বামীসহ চারজন। দুই বছর আগে নারকেল গাছ থেকে পড়ে গিয়ে স্বামী পঙ্গু হয়ে যান।
অন্যদিকে, স্নিগ্ধা বিশ্বাসের বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সরশুনা গ্রামে। প্রতিদিন সকালে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার হেঁটে বাজারে যান। তিনি জানান, এই প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম তার জীবনযাত্রায় নতুন আলোর দিশা দেখিয়েছে এবং তিনি এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে।






