বিশ্বখ্যাত গায়িকা লেডি গাগা তার ক্যারিয়ারের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে লড়াইয়ের সত্য ঘটনা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, থেরাপি, কাছের মানুষদের সমর্থন এবং চিকিৎসাসেবা তাকে কঠিন সময়গুলো পার হতে অনেক সাহায্য করেছে। ৩৯ বছর বয়সী এই তারকার আসল নাম স্টেফানি জার্মানোটা, কিন্তু তিনি বিশ্বজুড়ে লেডি গাগা নামে পরিচিত। তাঁর কথায়,তিনি এমন এক সময়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন যখন মানসিক স্থিতিশীলতা হারিয়ে ফেলেছিলেন। এর ফলে, তিনি তার বিশ্বভ্রমণ, মিউজিক্যাল ট্যুর বাতিল করতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, ‘একদিন আমার বোন বলল, আমি আর আমার বোনকে দেখতে পাচ্ছি না। সেই সময় আমি ট্যুর বাতিল করেছিলাম।’ গাগা আরও উল্লেখ করেন, এমন সময়ে তিনি ভাবতে শুরু করেন যে তিনি কখনো সুস্থ হতে পারবেন না। একজন মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় এবং পুরোপুরি ভেঙে পড়েন তিনি। তিনি বলেন, ‘সেটা খুব ভয়ঙ্কর ছিল, আমি কিছুই করতে পারছিলাম না। আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি যে আমি জীবিত আছি।’ গাগা থেরাপি গ্রহণের পাশাপাশি তার বাগদত্তার সহায়তাকেও অনেক মূল্যবান বলে উল্লেখ করেন, যা তাকে মানসিক চাপ মোকাবিলা ও স্থিতিশীলতা ফিরে পেতে সাহায্য করেছে। তিনি স্বভাবসুলভভাবে বলেন, তার সবচেয়ে বড় কাজ ‘এ স্টার ইজ বর্ন’ সিনেমার সময়ও তিনি লিথিয়াম ওষুধ গ্রহণ করেছিলেন। একেবারে উচ্চ স্তরের পারফরম্যান্সের মধ্যে থাকা অবধিও, তিনি নিজেকে প্যানিক অ্যাটাক থেকে রক্ষা করতে ৯০ সেকেন্ডের জন্য লড়াই করতেন। লেডি গাগার এই প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।






