জেডিইউর শীর্ষ নেতা নীতীশ কুমার আজ তার রাজনীতির এক মহাকাব্যিক মুহূর্তের সাক্ষী রইলেন। তিনি আরেকবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন, এ নিয়ে এটি তার পঞ্চদশবারের মতো শপথ গ্রহণ। এই ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছেন তিনি, যা তাকে দেশের রাজনীতিতে এক অনন্য স্থান করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পটনার গঙ্গাধর খান গার্ডেন্স গার্ডেনে এই মহামাত্রের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং নীতির নেতৃত্বে থাকা এনডিএর অন্যান্য শীর্ষ সদস্যরা। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে একত্রিত হয়ে তারা সবাই মিলে স্মারক এই অনুষ্ঠানে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন।
৭৪ বছর বয়সী নীতীশ কুমার দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে বিহরের শাসনভার চালিয়ে যাচ্ছেন, আর এই ধারাবাহিকতায় তিনি নিজেকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। তার এই রাজনৈতিক যাত্রা তাকে দেশের দীর্ঘতম সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা মুখ্যমন্ত্রীদের একজন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান স্বাক্ষর করেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য। সেখানে তিনি নীতীশ কুমারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের শপথ গ্রহণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শপথগ্রহণের এই অনুষ্ঠানে নীতীশ কুমার পাশাপাশি শপথ নেন বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ ও ওবিসি সম্প্রদায়ের নেতা সম্রাট চৌধুরী। আরও তিন নেতা—দিলীপ জয়সওয়াল, বিজয় কুমার সিনহা ও মঙ্গল পাণ্ডে—মন্ত্রিসভায় শপথ নেন।
জননেতা সম্রাট চৌধুরী, বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব ও শ্রাবণ কুমারও বিজেপি তরফ থেকে মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। অন্যদিকে, জেডিইউর পক্ষ থেকে বিজয় কুমার চৌধুরী, বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব এবং শ্রাবণ কুমার নতুন মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে একত্রিত হয়ে নতুন সরকারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলো, যা করে তাদের রাজনৈতিক পথের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।






