আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (সদর) আসনের জন্য নির্বাচনী প্রচারণা oficialmente শুরু করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। রোববার দুপুরে ফেনী শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে এক সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে তিনি নিজের পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতিগুলো জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ফেনী জেলা এবি পার্টির আহবায়ক মাস্টার আহসানুল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য লাভ করেন এবি পার্টির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম বাদল। উপস্থিত ছিলেন দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, যেমন চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, পেশাজীবী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল্যা নোমান, জেলা যুগ্ম আহবায়ক মোতাহের হোসেন বাহার, সদস্য সচিব অধ্যাপক ফজলুল হক, যুগ্ম সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, মামুন আনসারী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত সাজু, কোষাধ্যক্ষ শাহীন সুলতানী, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হাবীব মিয়াজী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা মনি, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, সহকারী দপ্তর সম্পাদক নাজরানা হাফিজ, নারী নেত্রী শাহানা শানু, হুরে জান্নাত ওফেনী পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ সেলিম প্রমুখ।
মঞ্জু আরও জানান, জুলাইয়ে অভ্যুত্থানে যারা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন, তাদের নিয়ে একটি নতুন জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এখনই দরকার এবং দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি স্বাধীন ভোটারদেরও সমর্থন কামনা করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, যদিও নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন না, তবুও ফেনীবাসীর জন্য জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যাবেন।
বিনিময় সভায় তিনি বলেন, বিদেশিদের হাতে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়াটা এখনো কোনও ভুল বা দোষের বিষয় নয়। এছাড়া তিনি আশাও প্রকাশ করেন, কোনো সন্দেহ ছাড়াই নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে। তিনি আরও জানান, যদি ফেনী বিএনপির সব পক্ষ চাইলে তারা জোটের প্রার্থী হতে পারেন, তবে কারো প্রতি কষ্ট দেওয়া তার উদ্দেশ্য নয়।
শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন। এভাবেই তিনি নির্বাচন ও রাজনীতির শঙ্কা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।






