মিস ইউনিভার্স ২০২৫ এর প্রতিযোগিতা যেন কোনো ঠেকায় নেই। এইবার আবারো বিতর্কের কেন্দ্রে এসেছে মূল প্রতিযোগিতা, যখন প্রতিযোগীর সঙ্গে নির্বাচনী কমিটির একজন সদস্যের সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়ে ও কারচুপির অভিযোগে দুই বিচারক নিজ নিজ পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে prestigous সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’-এর ৭৪তম আসর এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে থাইল্যান্ডে। এরই মধ্যে নতুন মিস ইউনিভার্সের নাম ঘোষণা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার লেবানিজ-ফরাসি সংগীতশিল্পী ওমর হারফুশ নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন, যা তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আট সদস্যের জুরি বোর্ড থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তিনি বা তার দল উপস্থিত ছিলেন না। এই ব্যাপারটি তিনি সামাজিক মাধ্যমে দেখে হতবাক হয়েছেন।
হারফুশ অভিযোগ করেন, প্রাক-নির্বাচনী এই অনানুষ্ঠানিক জুরিবোর্ডের মধ্যে এমন ব্যক্তিরা ছিলেন, যাদের কিছু প্রতিযোগীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না করে শুধু পরোক্ষে জানান, কিভাবে তারা কাজ করছে, তা তিনি স্পষ্ট করেননি। তবে, মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, প্রতিযোগীদের মূল্যায়নের জন্য বাইরের কোনও দল বা ব্যক্তিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি।
অন্যদিকে, ক্লদ মাকেলেলে, যিনি জুরি সদস্য হিসেবে নিজেকে অব্যাহত রেখেছিলেন, এবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এটি তার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত। তিনি মিস ইউনিভার্সের মূল উদ্দেশ্য — ক্ষমতায়ন, বৈচিত্র্য এবং উৎকর্ষতা — এ মূল্যবোধগুলো সবসময়ই লালন করে এসেছেন। তবে, সম্প্রতি প্রচুর বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার ফলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
নওয়াত ইটসারাগ্রিসিল, থাইল্যান্ডের প্রতিযোগিতা আয়োজক দলের পরিচালক, একটি প্রাক-ইভেন্টের সময় মিস মেক্সিকো ফাতিমা বোশের সঙ্গে প্রকাশ্য ভাষণে বলেছিলেন, কেন তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনও প্রচারমূলক কনটেন্ট পোস্ট করছেন না। এরপরই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও, যেখানে দেখা যায়, কিছু প্রতিযোগী অনুষ্ঠান থেকে বেরোচ্ছেন এবং কেউ কেউ নওয়াতের দিকে চিৎকার করে বলছেন। পরে তিনি দাবি করেন, তার কথার কিছু অংশ ভুলভাবে বোঝানো হয়েছে। তবে, এই ঘটনায় মিস ইউনিভার্সের কর্তৃপক্ষ ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।






