মিস ইউনিভার্স ২০২৫ প্রতিযোগিতার আসর ঘিরে উত্তেজনা যেন কমছেই না। এর মধ্যে নতুন এক সংকট দেখা দিয়েছে, যেখানে এক প্রতিযোগীর সঙ্গে নির্বাচনী কমিটির এক সদস্যের সম্পর্কের ইঙ্গিত উঠে এসেছে। এর পাশাপাশি কারচুপির অভিযোগের ঝড়ে দুই বিচারক তাদের পদত্যাগ আদায় করে নিয়েছেন।
বিশ্বের অন্যতম প্রখ্যাত সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইউনিভার্স’ এর ৭৪তম আসর এই বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে থাইল্যান্ডে। এই প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করার দিন সন্দেহের জন্ম দিয়েছেন অনেকেরই, যখন অভিযোগ ওঠে কিছু অস্পষ্ট বিষয়ের মধ্যে রয়েছে।
গত মঙ্গলবার, লেবানিজ-ফরাসি সংগীতশিল্পী ওমর হারফুশ এক বিবৃতি দিয়ে জানান, তিনি বিচারকদের অস্থায়ী গোষ্ঠী থেকে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জানান, ১৩৬ দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে ফাইনালিস্ট নির্বাচন করতে গঠিত কেন একটা অপ্রাতিষ্ঠানিক জুরি বোর্ড। এতে তিনি এবং অন্য তার আটজন সহকর্মী ‘‘অপ্রচলিত’’ভাবে অংশ নেননি, যা তিনি জানতে পেরেই হতবাক।
হারফুশের অভিযোগ, ওই অপ্রাতিষ্ঠানিক কমিটিতে কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কিছু প্রতিযোগীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে, যা এই জুরির সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে তিনি এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেননি। এরপর মিস ইউনিভার্স প্রশাসন এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, কোনো বাইরের দল বা ব্যক্তিকে আসল বিচারক প্যানেলে যুক্ত করা হয়নি। তারা মনে করছেন, হারফুশ হয়তো ‘বিয়ন্ড দ্য ক্রাউন’ নামে এক সামাজিক উদ্যোগকে জুরি বোর্ডের ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, মিস ইউনিভার্সের এক নম্বর বিচারক ক্লদ মাকেলেলে জানান, তিনি এই সিদ্ধান্তে খুবই দুঃখিত। তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিনি নানা মূল্যে উৎসাহিত, বৈচিত্র্য ও উৎকর্ষের বার্তা পৌঁছে দিতে চান। চলতি মাসের শুরুতেই এই বিতর্কের সূচনা হয়, যেখানে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে, থাইল্যান্ডের আয়োজক কমিটির পরিচালক নাওয়াত ইটসারাগ্রিসিল একটি জাতীয় প্রাক-ইভেন্টে মিস মেক্সিকো ফাতিমা বোশের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে প্রকাশ্যে জানান, কেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণামূলক কোনও পোস্ট করছেন না। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে দেখা যায়, নাওয়াতের সঙ্গে মিস বোশসহ কয়েকজন প্রতিযোগী অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কিছু অংশে তারা তার বিরুদ্ধে চিৎকারও করেন। পরবর্তীতে নাওয়াত দাবি করেন, তার কিছু কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তবে এর ফলে মিস ইউনিভার্সের কর্তৃপক্ষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা প্রতিযোগিতার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।






