বাংলাদেশ নৌবাহিনী সম্প্রতি সফলভাবে সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মাধ্যমে তাদের সামুদ্রিক দক্ষতা ও সক্ষমতা আবারও প্রমাণ করেছে। বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত এই মহড়া দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি আরও জোরদার করার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
গতকাল রোববার, বৃহষ্পতিবার, এই মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আইন-আদালত ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এ ছাড়াও, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ মহড়ার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ করেন।
পাঁচ দিনব্যাপী এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল নৌবাহিনীর বিভিন্ন জাহাজ, যার মধ্যে ছিল ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোলক্রাফট, মিসাইল বোটসহ অন্যান্য নৌযান। পাশাপাশি অংশ নিয়েছিল মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টার ও বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াড। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মেরিটাইম সংস্থাগুলোও এই মহড়ায় উপস্থিত হয়।
মহড়ার বিভিন্ন ধাপে দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা, পর্যবেক্ষণ, লজিস্টিক অপারেশন, উপকূলীয় নৌপ্রতিরক্ষা, জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, শোল্ডার লঞ্চড সারফেস টু এয়ার মিসাইল ফায়ার, অ্যান্টি-এয়ার র্যাপিড ফায়ার, রকেট ডেপথ চার্জ ফায়ার, নৌ-কমান্ডোদের হেলিকপ্টার ভিত্তিক ভিজিট, বোর্ড সার্চ অ্যান্ড সিজার মহড়া পরিচালিত হয়।
চূড়ান্ত দিনে, বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ-সহ অন্যান্য সেনা যোগ্যতা প্রদর্শনে এই মহড়ায় উল্লেখযোগ্য ছিল। দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সক্ষমতা আরও জোরদার করতে এই মহড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মহলের কর্মকর্তারা প্রশংসা করেছেন, তারা নৌবাহিনীর এই সাফল্যকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বলে মনে করেন। পাশাপাশি, এই মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা রক্ষা, সমুদ্র সম্পদ সংরক্ষণ ও জলদস্যুতা দমনসহ প্রতিবেশী ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এর অবদান স্বীকৃতি পেয়েছে।






