দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প ‘ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট’ (এমআরটি লাইন-৬) এর ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যার পরিমাণ ৭৫০ কোটি টাকার বেশি। এর পাশাপাশি, প্রকল্পের মেয়াদ অতিরিক্ত তিন বছর বাড়ানো হয়েছে যাতে চলমান কাজগুলো সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা যায়।
সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী, এখন প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৭১৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা পূর্বের পরিকল্পনায় ছিল ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাছাকাছি। এর মধ্যে সরকারের অংশ কমে ১২ হাজার ৫২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আর জাইকার ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকায়।
প্রকল্পের মেয়াদ নতুন করে তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেমের ইনস্টলেশন, ট্রেনের বড় ধরনের মেরামত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নতুন ট্রেন সেটগুলো চালুর কাজসমূহ সম্পন্ন করা হবে।
প্রকল্পের সংশোধনিতে আরও দেখা গেছে, অপ্রয়োজনীয় স্টেশন প্লাজাগুলোর কাজ বাতিল করে, ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় কমানো হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল ওহাব, যিনি প্রকল্প পরিচালক, বলেছেন, বাদ পড়া কিছু স্টেশন প্লাজা বর্তমানে প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে না।
প্রকল্প বিস্তারিত পর্যালোচনার জন্য গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এক প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা হয়, যেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় নতুন করে প্রকল্প প্রস্তাব পুনর্গঠনের। এর ভিত্তিতে পরিকল্পনা কমিশন সংশোধিত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়।
পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ জানান, ঢাকা মহানগর এলাকায় পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে যানজটের সমস্যা সমাধান সম্ভব, তাই এই প্রকল্পের মূল্যায়ন চলছে।
অতিরিক্ত বরাদ্দের অংশ হিসেবে রোলিং স্টক, ইকুইপমেন্ট, কনসালটেন্সি সার্ভিস, ইএন্ডএম সিস্টেম ও ডিপো ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টে উল্লেখযোগ্য অর্থের বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ও লাইনের কাজ বাদ দেয়ায় ব্যয় ব্যাপকভাবে কমানো গেছে।
এখন পর্যন্ত উত্তরা-মতিঝিল অংশের কাজের অগ্রগতি ৯৯.৪০% এবং মতিঝিল-কমলাপুর অংশের অগ্রগতি ৬৩.১৫%। এর ফলে, প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।






