দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ঘনিষ্ঠ ও কার্যকর সমন্বয় গতিশীলতা আনে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এই সমন্বয় ছাড়া দেশের প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই টেকসই ও গতিশীল হতে পারে না।
গত রোববার ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ: চ্যালেঞ্জ থেকে প্রতিযোগিতার পথে’ শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের সংলাপে এসব কথা উঠে আসে। অনুষ্ঠানে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল বেটোপিয়া গ্রুপ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহবুবুর রহমান।
সংলাপে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, শিল্প, পররাষ্ট্র, অর্থ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। এরা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, কাঠামো ও ভবিষ্যদ্বানীর বিষয়ে আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের দ্রুত সংস্কার আর নীতিগত পরিবর্তন করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে লজিস্টিক ব্যবস্থা উন্নত করা, কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করা, নীতি ও প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা এবং ব্যবসায়িক সেবা ডিজিটাল 플랫폼ে আনয়ন। এসব পদক্ষেপ ব্যবসার খাতের উন্নয়নে দ্রুত গতি আনার জন্য অতি জরুরি।
অতিরিক্ত প্রয়োজন মনে করেন জ্বালানি নিরাপত্তা, পুনর্ব্যবহার ও রিসাইক্লিং শিল্পে প্রণোদনা দেওয়া এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সৃষ্টি। এসব উদ্যোগ দেশীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হয়।
সংলাপে বলা হয়, দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সরকার ও বেসরকারি খাতের সহযোগিতা অব্যাহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপে গড়ে তুলতে হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং দেশি-বিদেশি উভয় ধরনের বিনিয়োগের গতি দ্রুত হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের বাণিজ্যবিষয়ক কাউন্সেলর পল ফ্রস্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।
অ্যামচ্যামের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং স্টি.এন.এ’র বাংলাদেশ অফিসের প্রধান নির্বাহী মইনুল হক, অগমডেক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ মুজিব নোমানসহ অন্যান্য নেতারা অংশ নেন। সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেটোপিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মনির হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
সংলাপের পরিচালনা করেন অ্যামচ্যাম বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী কায়সার মোহাম্মদ রিয়াদ।






