চেনা মুখ পার্সা ইভানা modeling দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন, এরপর নিজস্ব পরিচিতি ও জায়গা তৈরি করেছেন অভিনয়ের মাধ্যমে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাকে বেশি করে পর্দায় দেখা যায় না। এর কারণ কোনো খারাপ ব্যস্ততা নয়, বরং তিনি নিজেকে নতুনভাবে চিনতে ও শিখতে চাইছেন। কিছু দিন আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে এসেছেন।
যেখানে অবস্থান করেছিলেন, সেখানকার সময়কে তিনি শুধুমাত্র বিনোদন সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি। বরং সে সময়কে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ হিসেবে দেখেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় অভিনয় বিদ্যালয় ‘দ্য ফ্রিম্যান স্টুডিও’তে একটি শর্ট কোর্সে ভর্তির পাশাপাশি ব্রডওয়ের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ‘স্টেপস অন ব্রডওয়ে’ থেকে নাচের একটি কোর্স সম্পন্ন করেছেন। ইভানা বলছেন, ‘মানুষের শেখার শেষ নেই। শিল্পীর তো আরওই। মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিনিয়ত শেখার ক্ষুধা মেটে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি মূলত বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে মনে হলো, সময় আছে, কিছু জানা উচিৎ। এভাবেই দুটি কোর্সে ভর্তি হই। এখন ভাবি, ভালোই সিদ্ধান্ত ছিল। এর ফলে আমার ভেতর অনেক পরিবর্তন এসেছে।’ নাচের প্রতি তার প্রেম অনেক আগে থেকেই। কোর্স শেষে তিনি কিছু স্টেজ শোতেও অংশ নিয়েছেন। ‘আমি শুধু উপভোগ করিনি, বরং নিজেকে আরও গুছিয়েছি, উন্নত করেছি,’ বলছিলেন তিনি।
অভিনয়ের কোর্স তাকে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন করেছে। শৃঙ্খলা, দেহভঙ্গি, অনুভূতির প্রকাশ—সব ক্ষেত্রে নতুন উপলব্ধি হয়ে এসেছে। তার শিক্ষকের এক মূল্যবান পরামর্শ তার জীবনেও গভীর ছাপ ফেলেছে, ‘নিজের মতো থাকো। অন্যের মতো হতে যাও না।’ ইভানা মনে করেন, এই কথাগুলো বোঝা ও মান্য করলে একজন শিল্পী হিসেবে তিনি আরও সুন্দরভাবে বিকাশ ঘটাতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর তিনি কিছুটা সময় নিজেকে বিশ্রাম দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে কয়েকটি ফটোশুট করেছেন, তবে বড় কোনো প্রজেক্টে এখনো যুক্ত হননি। কিছু কাজ নিয়ে আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, ‘এবার আমি এমন কিছু করতে চাই, যা আমাকে নতুন করে শুরু করার সুযোগ করে দেবে।’
জনপ্রিয় সিরিজ ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ তার অনুপস্থিতি নিয়ে ভক্তদের মধ্যে নানা কৌতূহল রয়েছে। এ বিষয়ে ইভানা বলছেন, ‘চতুর্থ সিজনে আমার চরিত্র যেমন ছিল, যদি পরিচালকদের অনুমতি থাকে, তাহলে আবার ফিরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। এখনও এ নিয়ে বিস্তারিত কথাবার্তা হয়নি, তবে চরিত্রের উল্লেখ ও ছবি থাকছে। এটাই আমার জন্য ভালো লাগার বিষয়।’
তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান। অন্যের ওপর নির্ভর না করে নিজের সৃষ্টিশীলতা দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে চান। শুধু না, আবার ফিরতেও ইচ্ছে আছে, বলছেন তিনি—‘গল্প ও চরিত্র যদি মনে ধরে, সেটা সিনেমা, ইউটিউব বা ওটিটি—যে মাধ্যমেই হোক, কাজ করবো।’
তিনি মনে করেন, দেশের সিনেমার সময় এখন বেশ ভালো। নতুন গল্প, নতুন নির্মাণশৈলী দর্শকদের মন জয় করছে। সঠিক চরিত্র পেলে তিনি আবার সিনেমায় দেখা যেতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।






