যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ না করার জন্য ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সিরিয়ার আধুনিক নেতৃত্বর অধীনে চলমান পরিবর্তনের প্রতি তিনি খুবই সন্তুষ্ট। গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ায় ইসরায়েল বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই সিরিয়ার রাজনৈতিক পরিবর্তনে সহায়তা প্রদান করছে।
সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের মতে, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক প্রাণঘাতী হামলার কিছুদিন পরই ট্রাম্প ইসরায়েলকে সতর্ক করে দেন। গত সোমবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়ার সঙ্গে দৃঢ় ও আন্তঃ সম্পর্ক বজায় রাখা ইসরায়েলের জন্য জরুরি। সেই সঙ্গে এমন কোনও কাজ যেন না হয়, যা সিরিয়ার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে পারে। আমরা চাই সিরিয়া একটি সমৃদ্ধ ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হোক।’’
ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারার প্রশংসা করে বলেন, তিনি দুই দেশের জন্যই ভালো কিছু করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’’
এদিকে, এই মন্তব্যের সময় সিরিয়ার ভেতরে ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত রয়েছে। সিরিয়ার মতে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে দেশজুড়ে ইসরায়েল অন্তত এক হাজারের বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও, সীমান্ত অতিক্রম করে চার শতাধিক অভিযান চালানো হয়েছে, যেখানে গোলান মালভূমির নিরস্ত্রীকৃত বাফার জোনও দখল করা হয়েছে, যা ১৯৭৪ সালের সমঝোতার লঙ্ঘন। প্রেসিডেন্ট আল-শারা স্থায়ীকরণের জন্য ৮ ডিসেম্বরের মাধ্যমে সীমান্তে ফিরে যাওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম ও সংকল্পের মাধ্যমে যা অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে, আমরা এর প্রশংসা করি।’ তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার সরকারকে সহায়তা দিয়ে একটি বাস্তব ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার ওপর থেকে বেশ কয়েকটি মার্কিন কালো তালিকা ও নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী তালিকা থেকেও বহু সিরীয় কর্মকর্তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে, সিরিয়ার সিভিলিয়ান প্রোটেকশন অ্যাক্ট সহ অবশিষ্ট কয়েকটি নিষেধাজ্ঞার আবারও প্রত্যাহার করতে হলে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন, যদিও প্রশাসন আপাতত ১৮০ দিনের জন্য সেগুলি স্থগিত রাখতে পারে।






