বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজন করা হলো তিনদিনব্যাপী গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো, যেখানে বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান মিলিত হয়ে ব্যবসায় নতুন দিগন্ত খুলে দিল। এ এই এক্সপোতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মোট ৩ লাখ ১১ হাজার মার্কিন ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য খুবই উৎসাহজনক। পাশাপাশি, প্রস্তাব পাওয়া গেছে আরও ৩ লাখ ৭২ হাজার মার্কিন ডলারের ক্রয়াদেশের, যা ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে নির্দেশ করে।
এক্সপো চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন সেক্টরের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে – প্রাণ এফএল গ্রুপ, অ্যাপ্যারেল সেক্টরে – শিশু পরিবহন, ফার্নিচার ও হোম ডেকোরি- হাতিল, আইটি ও আইটি সার্ভিসে – ডিজি ইন্টোটেক, পাট ও পাটজাত দ্রব্যে – প্ল্যানেট কেয়ার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য- এলএফএমইএবি, ফার্মাসিউটিক্যালসে – রেডিয়্যান্ট, এবং প্লাস্টিক ও কিচেন ওয়্যারে – বেঙ্গল প্লাস্টিক।
অনুষ্ঠানের মূল সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে অবস্থিত বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিগ ওয়েভ) যেখানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাসান আরিফ উপস্থাপনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক বেবী রাণী কর্মকার।
গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএর এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান, ফার্নিচার মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান এবং বিপিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ।
ভাইস চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, ছোট সময়ে প্রস্তুতি নিয়ে এভাবে আন্তর্জাতিক মানের এক্সপো আয়োজন করা সত্যিই চ্যালেঞ্জ হলেও ভবিষ্যতে নিয়মিত এই ধরনের আয়োজনে আরও সফলতা আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এ বছর গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে মোট ১২৫টি প্রতিষ্ঠান ১৬৫টি স্টলে অংশগ্রহণ করে। এই মেলায় мира ১৪টি দেশের শতাধিক আন্তর্জাতিক ক্রেতা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আলোচনা করেন এবং দেশের স্টল ও কারখানা পরিদর্শন করেন।
এ তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয় ও সেক্টরের ওপর ছয়টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় এবং মোট ২৩৮টি বি-টু-বি মিটিং সম্পন্ন হয়, যা বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনাকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।






