রাজধানী ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকাগুলো আবারো মৃদু ভূমিকম্পে কাঁপছে, যা দেখে নগরবাসীর মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে অনুমানিক ৬টা ১৪ মিনিটে নরসিংদীর শিবপুরে এই ভূমিকম্প ঘটে, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.১। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ৩৮ কিলোমিটার উত্তরের দিকে, এবং ভূকম্পনটির মৌলিক উত্স গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরদিকে, ভূগর্ভে অবস্থান ছিল প্রায় ৩০ কিলোমিটার গভীরে।
এটি প্রথম অনুভূত হয় ১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে, যখন রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.৯। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল মিয়ানমারের মিনজিনে, এবং এর প্রভাব কিছু অংশে চট্টগ্রামসহ অনুভূত হয়।
তার আগে, ২৭ নভেম্বর বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার রকম ছিল ৩.৬। এর কেন্দ্র ছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল। এই দিন ভোরে সিলেট ও কক্সবাজারের টেকনাফেও দুই দফা ভূকম্পন হয়।
বিশেষ করে ২১ নভেম্বর, শুক্রবার এবং পরের দিন শনিবার, প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশেপাশে চারটি ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে খুলোট ছিল সকাল ১১টার দিকে, যখন নরসিংদীর মাধবদী থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার, ফলে এতে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ওই ভূপাতিত ভূমিকম্পের ফলে দেশব্যাপী কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু ঘটে এবং আহত হন আরও পাঁচ শতাধিক মানুষ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই এলাকাগুলোর ভূমিকম্পের বেশিরভাগ উৎসই নরসিংদী জেলা বলে মনে করা হচ্ছে।






