নির্বাচিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরোয়ানা অনুসারে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে—এমন ঘোষণা দিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি। তবে, এই কঠোর সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু সূত্রనুসারে নিউইয়র্কে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
বুধবার এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি নিউইয়র্কে আসব।’ এই মুহূর্তে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কি মামদানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, তখন তিনি বললেন, ‘যদি মামদানি তার চিন্তাভাবনা পাল্টান এবং বলেন যে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার রয়েছে, তবে সেটা আলোচনা করার জন্য একটা ভালো সূচনা হবে।’
অভিযুক্তের এই ঘোষণার আগে, গত সেপ্টেম্বরে মামদানি বলেছিলেন, “যদি তিনি (নেতানিয়াহু) নিউইয়র্কে আসেন, আমি তাকে গ্রেপ্তার করতে বলব।” তিনি আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহু যুদ্ধাপরাধী এবং গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে সম্মান জানিয়ে তাকে বিমানবন্দরেই আটক করার নির্দেশ দেব।’
গত মাসে, ৩৪ বছর বয়সী মুসলিম যুবক জোহরান মামদানি ইতিহাস গড়ে প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশিয়ার বংশোদ্ভূত হিসেবে নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি ভোটের বেশি ৫০ শতাংশ পেয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি অর্জন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বরে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান এবং হামাসকে নির্মূলের নামে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ এবং শিশুর হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এই পরোয়ানা এখনও কার্যকর রয়েছে।
আইনজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়, ফলে নিউইয়র্ক পুলিশের পক্ষে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা যুক্তিযুক্ত নয়। ফেডারেল আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কাও রয়েছে। আবার, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানও নেতানিয়াহুর পক্ষে, যার ফলে তার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়াও কঠিন হতে পারে।
এদিকে, হেগ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত বছর জানিয়েছে, গাজায় হত্যাকাণ্ডের জন্য নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ রয়েছে। তবে, ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।






