বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। স্বৈরাচার পতন এবং গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৯০ সালের এ দিনে রক্তক্ষরণ ও অন্ধকার পথের অবসান ঘটেছিল স্বৈরশাসনের। এরশাদ বিরাশির ২৪ মার্চ পেশাগত বিশ্বস্ততা ও শপথ ভেঙে অস্ত্রের মুখে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতার বাইরে ঠেলে দেয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছিল। এর ফলে সৃষ্টি হয়েছিল অসাংবিধানিক শাসন যেটি ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি, এবং যার সূচনাকর্তা ছিলেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
তারেক রহমান আরও বলেন, একনায়ক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেন। গণতন্ত্রের পতন ঠেকাতে দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রাম চালিয়ে যান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, যিনি তখন দৃঢ় সংকল্প নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম করে এক সাহসী নেতা হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেন। তিনি গড়ে তোলেন এক শক্তিশালী গণআন্দোলন। এই ধারাবাহিক সংগ্রামের ফলে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার সম্মিলিত শক্তিতে স্বৈরাচার পতনের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হয় গণতন্ত্র।
বিএনপির এই নেতা উল্লেখ করেন, অর্জিত গণতন্ত্রের চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করতে আবারও ছাত্র-জনতা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এক অপ্রতিরোধ্য ফ্যাসিবাদী শক্তির সে�zonোতর স্তরে পরাজিত করে। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ছিল গণতন্ত্রের এই শত্রু। শেখ হাসিনার দুঃশাসনের পর আবারও গণতন্ত্রের পূর্ণ পুনরুজ্জীবন এবং দেশের সমাজে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার দুঃশাসনে ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর বিভিন্ন ধরনের জেল-জুলুম ও নিপীড়ন চালানো হয়। তার জীবনের সংকটকালেও তিনি অসুলভ নির্যাতনের শিকার হন। আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনা করছি। এ ছাড়াও দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয় নিরন্তর অত্যাচার-নির্যাতনের মাধ্যমে। সারাদেশে অবরুদ্ধ করা হয় গণতান্ত্রিক শক্তিকে।
তিনি আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ৮২ থেকে ৯০ সালের স্বৈরশাসবিরোধী আন্দোলনে আত্মদানকারী বীর শহীদদের স্মৃতিকে মনে করে কবুল করি তাদের রুহের মাগফিরাত। গণতন্ত্রের জন্য জীবনদানকারী এই শহীদদের স্মৃতি আমাদের অহংকার, এবং তাদের আত্মত্যাগের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আজকের এই স্মরণীয় দিনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে অবদান রাখা দেশবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। একইসাথে আহ্বান জানাই, গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির আর কখনো পুনরুত্থান না ঘটে, তাই সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে একযোগে থাকতে হবে।






