বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিতে জার্মানি থেকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এখন ঢাকায় আসছে। কাতার সরকারের উদ্যোগে জার্মানি থেকে আনা এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে, তারপর সেটি ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হবে।
ঢাকায় কাতার দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আসাদ বলেন, কাতার সরকারের ব্যবস্থাপনায় এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। সূত্র জানাচ্ছে, এই ভেঙে জার্মানি থেকে আনা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি খালেদা জিয়াকে নিয়ে ল্যান্ডিং-পয়েন্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।
বিশেষজ্ঞ সূত্রের মতে, সংস্থা ‘এফএআই রেন্ট এ জেট জিএমবিএইচ’-এর জার্মান প্রাইভেট এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে এই যাত্রা হবে। বিমানটি জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসি হয়ে সরাসরি লন্ডনে পৌঁছাবে।
তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছে, জার্মানি থেকে পাঠানো এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মূলত কাতার জার্মানির নির্মিত। তবে, প্রথমে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আসার কথা ছিল, সেটিতে কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়ায় কাতার সরকার তাদের অন্য একটি নতুন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে। এটি শনিবার বিকেল ৫টায় ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।
খালেদা জিয়াকে গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তবে কারিগরি সমস্যার কারণে সে সময়কার আগাম ঘোষণা বাতিল হয়। শুক্রবার সকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, এই প্রযুক্তিগত গোলমাল থাকায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি শুক্রবার আসছে না। তবে সব কিছু ঠিক থাকলে শনিবার সেটি ঢাকায় পৌঁছাবে।
তিনি আরও বলেন, যদি খালেদার শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হয় এবং মেডিকেল বোর্ড তাদের অনুমতি দেয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) তিনি লন্ডনে পৌঁছাবেন।
২০১৯ সালের জানুয়ারিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমবারের মতো লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, পরে তাঁর ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন। প্রায় চার মাস সেখানে থাকার পর ৬ মে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট হলে খালেদা জিয়াকে প্রথমে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকগণ ফুসফুসে সংক্রমণের রিপোর্ট দেয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর, গত রোববার ভোরে শারীরিক অবনতি হলে তাকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সবশেষে, তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে হাসপাতালের সর্বোচ্চ সতর্কতার মধ্যে আছেন তার চিকিৎসকরা।






