তিন দিন ধরে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাজারে হইচই চলছে। ব্যবসায়ীরা সরকারি অনুমতি না নিয়েই প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে নভেল স্বস্তি পায়নি ক্রেতারা। পাশাপাশি আবার দেশের বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম আবারও চড়া হয়েছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে কেজিতে পেঁয়াজের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরবরাহের স্বল্পতার কারণে পেঁয়াজের মূল্য হু হু করে বেড়ে চলেছে। শীতের মৌসুমেও সবজির বাজারে দাম কমার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না; তবে দাম আরও বাড়ছে। বর্তমানে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে থাকলেও কিছু সবজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রত্যেকটি ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, বেগুন ৮০ টাকা, মুলা ও গাজর ৪০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি ও করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা ও শালগম ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, শীতের আসার পরও সবজির দাম বাড়তে থাকায় সাধারণ ক্রেতারা হতাশ। আলতাফ হোসেন নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, শীত মৌসুমে সাধারণত সবজির দাম কমে যায়, কিন্তু এবার সেটা হয়নি। তিনি জানান, আগে যেখানে এক কেজি সবজি কিনতে পারতেন, এখন সেটা অর্ধেক কেজিতেই সীমাবদ্ধ। মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা এরশাদ আলী বলছেন, সরবরাহের স্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে ক্ষতির কারণে বাজারে সবজির মূল্য আকাশ ছুঁয়েছে। কাওরানবাজারে একাধিক বিক্রেতা সূচিত করেছেন, ক্ষেতের ক্ষতি, ট্রাকের দখল ও সরবরাহের অভাবে বাজারে সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে। শফিকুল নামে এক বিক্রেতা জানালেন, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, ডিমের দামও কিছুটা কমে গিয়েছিল, তবে সম্প্রতি আবার কিছুটা বাড়ছে; শুক্রবার ডিমের ডজন ১৩০ টাকা হবে বলে জানা গেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও, সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে চলেছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সরকারের অনুমোদন ছাড়া ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়াতে পারেন না—এটি আইনের ব্যত্যয়। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সরকারি অনুমতি ছাড়া তেলের দাম বৃদ্ধি আইনত নিষিদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে বাজারের অস্থিরতা আরও বেড়েই চলেছে।






