অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার জন্য লিবিয়ায় পাড়ি দিতে চাওয়া ৩১০ জন বাংলাদেশি আজ দেশে ফিরেছেন। তারা গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসেন। এসব বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বে ছিল লিবিয়া বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সঙ্গে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার যৌথ উদ্যোগ। লিবিয়া ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সহযোগিতায় এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। সাধারণত মানবপাচারকারীরা ভাগিয়ে নিয়ে যায় অবৈধভাবে ইউরোপ পাঠানোর নাম করে, আর বেশির ভাগ উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিরই গল্প একটাই—প্ররোচনা ও সহযোগিতায় তারা লিবিয়ায় প্রবেশ করে থাকেন। পরে অনেকেরই অপহরণ, নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যাবাসনকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের স্বাগত জানিয়ে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাদের চিন্তাভাবনা ও দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা অন্যদেরও সচেতন করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অনুরোধ জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাও প্রত্যাবাসিত ব্যক্তিদের জন্য পথখরচ, অল্প কিছু খাদ্যসামগ্রী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করে। এর আগে, গত সোমবার ১৭৩ বাংলাদেশিও দেশে ফিরেছিলেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে অসহায় ও বিপদে থাকা নাগরিকদের সুরক্ষার প্রতি সরকারের অঙ্গীকার আবারও প্রকাশ পেল।






