পেঁয়াজের বাজারে আসা অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ৭ ডিসেম্বর থেকে সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। প্রতিদিন ৫০টি করে আমদানির অনুমতি (আইপি) ইস্যু করা হবে, যার মাধ্যমে প্রতিবার সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজ বাজারে আনা যাবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ১ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত যারা আমদানির জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন, তারাই পুনরায় আবেদন দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য এই অনুমোদন পাবে। এই কার্যক্রম পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে পুনরাদেশে তা চালানো হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর খুচরা বাজারে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের মূল্য প্রায় ৪০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরবরাহের ঘাটতিকে এর জন্য দায়ী করছেন। সরবরাহ কমে যাওয়ায় মূল্য বৃদ্ধির এই ধারা দেখা গেছে। শনিবার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করছে; কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল, কৃষি মার্কেট, উত্তরার হজ ক্যাম্পে দাম চড়ছে।
কারওয়ান বাজারে পাবনার ভালো মানের পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে এক পাল্লা ৭৫০ টাকায়, যা প্রায় ১৬০ টাকায় কেজিতে বিক্রিত। তবে কিছু দোকানে ১৪০ টাকায় পেঁয়াজ পাওয়া যায়। কিছু দোকানে আগাম পেঁয়াজ এসেছে, যেখানে কেজি প্রতি দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে।
নীরব মিয়া, কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা, বলেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু করবে। তখন দাম কমে যাবে এবং কেজি মূল্য ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে থাকবে। তিনি আরও জানান, সাধারণত এই সময়ে প্রতি বছরই পেঁয়াজের দাম বাড়ে, কিন্তু এবার কোনো ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি না থাকায় দাম আরও বেশি।
মোহাম্মদপুর টাউন হল, কৃষি মার্কেট এবং উত্তরার হজ ক্যাম্পে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি দামে তাদের জন্য এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৮ টাকায়।






