অর্জিত দীর্ঘ ১৪ বছরের অপেক্ষার পর নিজ নির্বাচনী এলাকা কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমদ ব্যাপক আকারে গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে দেশের মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। ৩ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই পাঁচ দিনব্যাপী নির্বাচনী কার্যক্রম সময়জুড়ে জনসমুদ্রের রূপ নেয়। স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রতি এক অগণিত সুখী আবেগ দেখা যায়, যা পুরো এলাকাকে এক দারুণ উচ্ছ্বাসে ভরিয়ে তোলে। প্রতিটি পথসভা যেন এক বিশাল জনসমাবেশে রূপ নেয়, যেখানে নেতা ও জনগণের মধ্যে দুর্দান্ত যোগসূত্র সৃষ্টি হয়।
প্রচারণার এই পাঁচ দিন তিনি চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে অবিরাম মানুষজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেন। খুটাখালী, ডুলাহাজারা, ফাঁশিয়াখালী, মগনামা, বদরখালী, হারবাং সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের ঘরে ঘরে গিয়ে তিনি তাদের সমস্যাগুলো শোনেন এবং সমাধানের আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি মোট ৩০টি পথসভায় বক্তব্য দেন এবং নারী ও সনাতনী সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যা মানवी সংলাপের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করে।
নির্বাচনী প্রচারকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখান। তিনি জানিয়ে বলেন, গভীর সমুদ্রবন্দরসহ চকরিয়া-পেকুয়া ও উপকূলীয় এলাকায় একটি নতুন ‘বিজনেস হাব’ গড়ে তোলা হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার জন্য তিনি আনোয়ারা-পেকুয়া-বদরখালী সড়ককে চার লেনের ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে ছয় লেনের করার পরিকল্পনাও তুলে ধরেন। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন, ভৌগোলিক বিভাগে আইসিটি সুবিধার সম্প্রসারণ এবং নদী ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণের অঙ্গীকার করেন তিনি।
বিশেষ করে এই প্রচারাভিযানে নারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ বদরি জানান, অনেক সমাবেশেই পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগের সময় এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটে। একজন শতবর্ষী বৃদ্ধা সালাহউদ্দিন আহমদকে দেখার অপেক্ষায় থাকায় তিনি গাড়ি থামান এবং বৃদ্ধার গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দোয়া করেন।
স্থানীয় শিক্ষাবিদ ও সমাজের বিশিষ্টজনেরা তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। চকরিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জুবাইদুল হক বলেন, সালাহউদ্দিন আহমদ তার রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও পরিপক্বতার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন তিনি কেবল কক্সবাজারের নয়, বরং দেশের একজন গর্বের নেতা। অন্যদিকে বদরখালী কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান মন্তব্য করেন, অতীতে এমপি ও প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় তিনি এই এলাকার উন্নয়নে বিপুল কাজ করে ৫০ বছর এগিয়ে এনেছেন। দলের সঙ্গে নির্বিশেষে সবাই মনে করে, সালাহউদ্দিন আহমদই এই অঞ্চলের মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তার প্রতিযোগী বা বিকল্প কেউ নেই।






