আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের মুখে রয়েছে দেশের রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ সময়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার সকল রাজনৈতিক দলের নেতা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, এই নিরাপত্তা প্রটোকল কার্যকর করবে পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সামরিক, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সমন্বয়ে বাস্তবায়িত হবে। এতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী, তাদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচলের পথ, জনসভা এবং সাইবার স্পেসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্তভাবে, গণঅভ্যুত্থান বা বৃহৎ রাজনৈতিক আন্দোলনের সুরক্ষার জন্য নেতৃবৃন্দের ওপর বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এই উদ্যোগ যেন শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরাপদে নির্বাচন ও গণভোট সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দফতর সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
অপর দিকে, সম্প্রতি ঢাকার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। পুলিশ ইতোমধ্যে হামলাকারী ও সহযোগীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা চলছে।
প্রেস উইং জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সীমান্ত পার হতে বাধা দেওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ছবি ও তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। যদিও স্থানীয় ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষণে কিছু সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে, তবে স্থান পরিবর্তনের কারণে তাদের গ্রেফতারকাজ আরও সময় লাগছে।
পুলিশ প্রধানের তথ্য অনুযায়ী, সন্দেহভাজন এই ব্যক্তির চলাচলের ইতিহাস সংগ্রহ করা হয়েছে। জানা গেছে, তিনি মূলত আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে চারিত্র বছর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন, এবং সর্বশেষ ২১ জুলাই সিঙ্গাপুরের ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে। এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজন এখন নজরদারিতে রয়েছে।






